রহমত ডেস্ক 25 July, 2022 07:53 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সরকার উন্নয়নের সিড়িঁতে দাড়িয়েছে এটা তাদের বক্তব্য। তাহলে সরকার নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে কেন? অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাবার আদর্শের মধ্যে নেই। আমাদের দেশের রাজনীতিকদের কাছে ধর্ম অনুপস্থিত। আর ইসলামপন্থিদের কাছে রাষ্ট্র অনুপস্থিত। প্রচলিত রাজনীতিকদের কাছে ইসলাম না থাকায় দুর্নীতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তারা রাষ্ট্রের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। ফলে একটি বালিশ কিনতে ৫৫ হাজার টাকা লাগে। এভাবেই রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করে খাচ্ছে। সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, একশ টাকা বরাদ্দ হলে ১০ টাকা পৌঁছে।
আজ (২৫ জুলাই) সোমবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন নওগাঁ সদর উপজেলা আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজলো সভাপতি মাওলানা আবদুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নজরুল ইসলামসহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সরকার রাজনৈতিক ভেল্কিবাজী দেখিয়ে শত ভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার যখন কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে চাইলো তখন আমরাসহ দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বাধা দিয়ে বলেছিলেন- কুইক রেন্টাল একসময় সরকারকে দেওলিয়া করে দিবে। সরকারদলীয় নেতা ও ক্ষমতাসীনদের আত্মীয় স্বজনদের দুর্নীতির সুযোগ করে দিতেই রেন্টাল পদ্ধতি। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড়ই আশঙ্কাজনক। ভারত থেকে কয়লা বিদ্যুত আমদানির চেষ্টা চলছে। এতে বিদ্যুতের শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত প্রায় তিন বছরে মোট ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। পিডিবির তথ্য মতে- বিগত ১৩ বছরে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনা হয় ২৫ হাজার ৩১ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা। যার জন্য পিডিবি পরিশোধ করে এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই ছিল ৬৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। ভারতের আদানী গ্রুপ কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ভাড়া নিয়েছে। এ সকল কুইক রেন্টাল স্বল্প মেয়াদে চলার কথা থাকলেও বার বার তা নবায়ন করে এই খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। যার ব্যয়ের বোঝা জনগণকেই বহন করতে হচ্ছে। এখন জনগণ লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ভোগ করছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার অনুপস্থিত। রেলওয়ের দুর্নীতির ভয়াবহ অবস্থা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। তেল-গ্যাসের দাম বার বার বাড়ানো হচ্ছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই মন্ত্রী-এমপিদের সুইস ব্যাংকে জমা হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। এভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে দেশ ক্রমেই দেওলিয়ার দিকে এগুচ্ছে।