ইসকন নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, ৫ হিন্দু যুবক কারাগারে

চট্টগ্রামে ফেসবুকে ইসকনকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ হিন্দু ধর্মের পাঁচ যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো পাঁচজন হলেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন বিশ্বাস, ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী, প্রবর্তক সংর্ঘের সাবেক শিক্ষার্থী সুভাষ মুহুরী ও সুশীল দে টিটু এবং প্রবর্তক সংঘ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সদীপ দে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারের বরাতে তিনি জানান, আসামিরা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘প্রবর্তক সংঘ বাঁচাও’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে ইসকন ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নামে কটূক্তি, মানহানিকর বক্তব্য দেন।

২০২১ সালের ২৩ আগস্ট ইসকনের পক্ষে তারননিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি কাউন্টার টেররিজমকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।

বেঞ্চ সহকারী কামরুল আরও বলেন, ‘সমন জারির পর রোববার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন না নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’

আসামি সদীপ দের শ্যালক জনি দে বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের পরিবারে আজই জানাজানি হয়েছে। একজন সনাতন ধর্মালম্বী তো একই ধর্মের আরেকটা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কটূক্তি করে নিচে নামাবে না।

‘যতটুকু জেনেছি ইসকনের কী বিষয় নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেছিল, সেটার কারণে মামলা হয়েছে। আর প্রবর্তক সংঘের সঙ্গে ইসকনের এমনিতেই ঝামেলা।’