ওসমান হারুনী, জামালপুর প্রতিনিধি 16 July, 2022 07:32 PM
বালাশী হতে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট নৌ রুটের বালাশী ঘাটে যাত্রী সাধারণ ঘাট ইজারা মালিকদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই রুটে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্ত লঞ্চ চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় ঈদ যাত্রার যাত্রীরা চরম দূর্ভোগ পড়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মোহাম্মদ ইমরান গত ৭জুলাই হতে চারটি লঞ্চ বালাশী ফেরিঘাট হতে বাহাদুরাবাদ ফেরি ঘাট পর্যন্ত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়। কিন্তু বালাশী ঘাটের লঞ্চ মালিক সোহানুর রহমান ও তার সহযোগীরা ইমরানের লঞ্চ চলাচলের বাঁধা দিচ্ছে এবং বালাসী ফেরিঘাট ঘাটে লঞ্চ নোংগর করার পর লঞ্চ স্টাফদের সাথে খারাপ আচরণ করছে। ফলে পবিত্র ঈদ উল আজহার উপলক্ষে যাত্রী সেবায় লঞ্চ চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। যাত্রীরাও সিডিউল ভোগান্তীতে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের নৌকায় পারাপার হচ্ছে।
যাত্রী সাধারণের অভিযোগ, তারা বালাশী ঘাটে ২০০টাকা টিকিট কেটে লঞ্চে উঠলেও তাদের লঞ্চ থেকে নামিয়ে কাঠের নৌকায় উঠানো হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বালাশী ঘাটের লঞ্চ মালিক সোহানুর রহমান তার অনুমতি প্রাপ্ত লঞ্চ ৪টি লঞ্চ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নৌরুটের কৃক্রিম নাব্যতা সংকটের কথা বলে লঞ্চের টিকিট বিক্রি করে যাত্রীদের কাঠের নৌকা দিয়ে যমুনা পারি দিচ্ছে। ফলে যাত্রীরা লঞ্চ মালিক সোহানুর রহমানের নিকট জীম্মি হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যমুনা পারির দিচ্ছে।
অপর দিকে দেওয়ান মোহাম্মদ ইমরানের লঞ্চের নাবিকের অভিযোগ, নাব্যতা কোন সংকট নেই; নতুন চ্যানেল হয়ে তাদের লঞ্চ বালাশী ঘাটে যাচ্ছে। কিন্তু বালাশী ঘাট থেকে সোহানের লোকজন লঞ্চের যাত্রী দিচ্ছে না; যাত্রীরা টিকিক কেটে লঞ্চ উঠলেও টিকিটের টাকা আটকে দিচ্ছে তারা।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ ও লঞ্চ মালিক বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের নিকট বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ লঞ্চ চলাচলের স্বাভাবিক রাখার দাবী জানিয়েছেন।