রহমত ডেস্ক 12 July, 2022 05:48 PM
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যায় জনগণ অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পাড় করেছে। তবুও বন্যার পানি কমে যাওয়ায় কিছুটা ঈদের আনন্দ দেখা গেছে। আমরা বানভাসি মানুষদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পাশে থাকব। এরইমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণের উদ্যোগ নেবো। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণ সামগ্রী রয়েছে। আজ (১২ জুলাই) মঙ্গলবারদুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বানভাসি মানুষ যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দিয়েছি। নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আমরা নগদ দুই কোটি টাকা দিয়েছি, এক হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন দিয়েছি, এক কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ মজুরি বাবদ দিয়েছি। আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টগুলো এসেছে। এগুলো কম্পাইল না করে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। ত্রাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সব কিছুই আছে। যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সক্ষমতা আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, অতিরিক্ত কিছু লাগলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ পাব। সিলেট-সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিলো আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিলো, আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম তিনি পরদিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট এবং সুনামগঞ্জে। আরেক দফায় তিনি এই অর্থ বরাদ্দ দেবেন।