| |
               

মূল পাতা জাতীয় আমরা মোটামুটি বন্যাকে পরাস্ত করেছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আমরা মোটামুটি বন্যাকে পরাস্ত করেছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     10 July, 2022     05:07 PM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আজ আমাদের খুশির দিন। খুশির দিনে যে আমরা মোটামুটি বন্যাকে পরাস্ত করেছি। বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের আমরা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকার ছাড়াও বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।বন্যার্তদের জন্য জাতিসংঘ বা অন্যরা আমাদের একটা টাকাও দেয়নি। তবে তারা কিছু সংস্থা বা পার্টনারদের মাধ্যমে দেয়। তারা যা বলে, তা দেয় তা যথাযথ মানুষের কাছে পৌঁছে কি না, আমরা তো মনিটরিং করতে পারি না। এগুলা আপনারা (সাংবাদিক) মনিটরিং করতে পারেন।  আজ (১০ জুলাই) রবিবার সকালে সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের নদী-নালা, খাল-বিল ভরাটে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছেলে বেলায় আমাদের এখানে বন্যা আসতো। সকালে বন্যা এলে বিকেলে বা পরদিন চলে যেত। কিন্তু এবার বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় নদী-নালা ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে। কীভাবে এসব মোকাবিলা করা যায়। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পরও আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আজ আমাদের খুশির দিন। এ দিনে আমরা মোটামুটি বন্যাকে পরাস্ত করেছি। বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকার ছাড়াও বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। ভয়াবহ বন্যার পরও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মোটামুটি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকারছাড়াও বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের সহযোগিতা করেছেন। বন্যা আমাদের জন্য শিক্ষা। আগে সব সময় বন্যা আসত। সকালে বন্যা এলে বিকেলে কিংবা পরদিন নেমে যেত। কিন্তু এবার দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। কারণ, এখন নদীনালা ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে। খাল-বিল ভরাটের কারণে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ভাবতে হবে।

তিনি আরো বলেন, খাল-বিল ভরাটের কারণে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে। আগে পানি নামতে পারত, কিন্তু হাওর, দীঘি ও পুকুর ভরাটের কারণে পানি নামতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। যারা নগর পরিকল্পনাবিদ রয়েছেন, তারা কীভাবে এসব মোকাবিলা করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।  জাতিসংঘ কিংবা অন্যরা আমাদের একটা টাকাও দেয়নি। তবে তারা কিছু সংস্থা বা পার্টনারদের মাধ্যমে দেয়। তারা যা বলে তা দেয় তা যথাযথ মানুষের কাছে পৌঁছে কিনা আমরা তো মনিটরিং করতে পারি না। অবশ্য মনিটরিং করতে পারেন আপনারা (সাংবাদিকেরা)। এবার আমাদের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে কোনো দুর্নীতি হয়নি।