রহমত ডেস্ক 07 July, 2022 07:41 PM
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিভিন্ন দেশে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদেরও একটা সময় দাম সমন্বয় করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ছয় থেকে সাত মাস ধরে তেলের দামে প্রচণ্ড ঊর্ধ্বগতি। ৭০ থেকে ৭১ ডলারের তেলের দাম এখন ১৭১ ডলার হয়েছে এবং সেটা সব সময় বাড়ছেই। আমরা তেলের নিজেদের অর্থে ভর্তুকি দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের একটা সময় দাম অ্যাডজাস্টমেন্টে (সমন্বয়ে) যেতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তেলের দাম সমন্বয় করেছে। ভারতে লিটারপ্রতি বিভিন্ন তেলের ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ টাকা ডিফারেন্স।
দেশের বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস দিয়ে আমাদের ৬৪ শতাংশ বিদ্যুৎ চলে। খনিগুলো থেকে আমরা স্বল্প পরিমাণে গ্যাস পাচ্ছি। আমরা প্রায় ১০ বছর থেকে বলে আসছি, আস্তে আস্তে গ্যাস কিন্তু ডিকলাইনের (কমের) দিকে যাবে।
তিনি বলেন, গ্যাসের ঘাটতি আমরা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতাম। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্পট মার্কেটে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে তেল ও গ্যাসের দামে প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে। চার ডলারের গ্যাস এখন ৩০ ডলার হয়ে গেছে। সেটা কিনতে অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভর্তুকি দিয়েও এই পরিমাণ অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না।
শুধু দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি হবে স্বীকার করে নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কিছু করবেন না, যা সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা হবে। গ্যাসে সামান্য পরিমাণ মূল্য সংযোজন করেছি। তবে এখনও তেলে করিনি।
তিনি বলেন, আশা করবো সকলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন আর ধৈর্য ধরবেন। এটা খুব সাময়িক। সবাই যদি গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হন, তাহলে আমরা নিশ্চই এটা মোকাবিলা করতে পারব।