রহমত ডেস্ক 30 June, 2022 03:56 PM
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন বাংলাদেশে অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ক্যাটরিনা উইসার ও লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলাইমান মোহাম্মদ সুলাইমান।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তারা পৃথক পৃথকভাবে নিজেদের পরিচয়ত্র পেশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে বিকেলে নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছুলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রিয়া ও লিবিয়ার চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো সম্প্রসারিত হবে এবং রাষ্ট্রদূতরা এ লক্ষ্যে কাজ করবেন। দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের উপরও গুরুত্ব দেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম। এ বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুদেশের মধ্যে বিরাজমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ঔষধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। লিবিয়া এসব পণ্য আমদানীর মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে। লিবিয়ার সংকটময় সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশীরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়েছে। লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে নতুন দূতগণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ তাদের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।