বিএনপি মকারির নির্বাচনে যাবে না : টুকু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের মাধ্যমে ‘মকারি’র নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আগে একবার নির্বাচন করেছিলাম, আমরা গিয়েছিলাম, বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম। সেখানে তারা দিনের ভোট রাতে শেষ করে দিয়েছে। আবার এখন ইভিএমের নিয়ম করছে। এখন আর রাতে সিল মারতে হবে না, ওখানে (ভোটকেন্দ্রে) বসে টিপেই সব ভোট দিয়ে দেবে। এ রকম মকারির (উপহাস) মধ্যে আমরা যাবো না।

আজ (২৮ জুন) বুধবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। জাতীয়তাবাদী যুব দলের নতুন কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, নতুন কমিটির মামুন হাসান, কারমুজ্জামান দুলাল, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহীন প্রমুখ।

টুকু বলেন, একটা নিরপেক্ষ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে যাব না। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপি নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি দেখিয়ে দিয়েছে- কেয়ারটেকার সরকার করে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে পরাজয় বরণ করেছেন, একেই বলে গণতন্ত্র। সে সাহস থাকলে এ সরকার আসুক, সাহস করে আসুক, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করুক। আমরা যদি পরাজিত হই, পরাজয় বরণ করব। আামাদের কথা খেলাটা ফেয়ার হতে হবে।

তিনি বলেন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে, তার আগে থেকে আমরা এক দিনে নির্বাচন করেছি। এখন ইনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) হাইব্রিড কি না জানি না, তিনি চার দিনে কেন করতে চান, সেটাও জানি না। এর অর্থ হলো যে, আবার ওইগুলো (ফলাফল) নিয়ে এসে ডিসি অফিসে রাখো। ডিসি অফিসকে কেউ বিশ্বাস করে না। সুতরাং এটি বাংলাদেশে হবে না। এক নম্বর হচ্ছে, ওবায়দুল কাদেরের কথার মূল্য বাংলাদেশের মানুষ দেয় কি না, আমার সন্দেহ আছে। দুই নম্বর হচ্ছে, আমরা কী করব না করব তা আমরা ভালো জানি। ওবায়দুল কাদের আশা করলে যে আমরা যাব, তার তো কোনো কারণ নেই। তারা কোনো ভালো রেকর্ডও রাখেনি যে, আমরা যাব।