রহমত ডেস্ক 28 June, 2022 01:18 PM
গুলি করে খুন ও গুম করাসহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি এই জিডি করেন। জিডিতে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশাসকে (৬৮) অভিযুক্ত করা হয়েছে। পারিবারিকভাবে তারা দু’জন একই গোষ্ঠীর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার আসনের সংসদ সদস্যের অধীনে রাজনীতি করি। বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যের নামে ত্রাণ বরাদ্দ আসে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস সেই ত্রাণ গ্রহণ করতে চাইলে আমি বাধা দিই। এ কারণে তিনি (চন্দন বিশ্বাস) গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়ের সামনের রাস্তায় আমাকে ‘গুলি করে খুনের পর গুম করবেন’ বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ সময় মারমুখী হলে উপস্থিত লোকজন আমাকে রক্ষা করেন। এর আগেও দলীয় অফিসে তিনি (চন্দন বিশ্বাস) একাধিকবার মানুষকে গুলি করার হুমকি ধামকি দিয়েছেন। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন বলে জানান যুবলীগের এই নেতা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস জানান, তারে (পলাশ কান্তি বিশ্বাস) আমি কেন গুলি করতে যাব। বাটপারি করতে-করতে আর জায়গা পায় না। মিথ্যা ও বানোয়াট। সে কী মানুষটা, তারে গুলি করে আমার কী লাভ হবে। চড় থাপ্পড় খাইতে পারে।
জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী জিডি গ্রহণ করে তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করা হবে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ময়মনসিংহ নেত্রকোণা কলমাকান্দা