রহমত ডেস্ক 24 June, 2022 08:25 PM
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট তদবিরের বাজেট। যারা বিভিন্ন ধরনের তদবির করেছেন তাদের জন্য বাজেট ভালো হয়েছে। বাজেটে ট্যারিফের যে কয়েকটি বই আছে সেটিই আসল। অথচ এসব বই এখনো অনেকে পাননি।
আজ (২৪ জুন) শুক্রবার বিকালে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের ফরেস্ট, এনভাইরনমেন্ট, টুরিজম, এনিম্যাল অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি রঞ্জিত কুমার বর্মনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, হেলথ এন্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল, ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবদুর রহমান মাসুম প্রমুখ ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শুল্কের ৮টি স্তর করা হয়েছে। এটি তদবির ও বড় লোকের বাজেট। রপ্তানিকারকরা আগে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কর দিতেন তা এখন শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করা হয়েছে, এটি ভালো দিক। বাকি সবখাতে ভুল সিদ্ধান্ত। সাড়ে ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমার টাকা বিদেশে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। সেই দেশের সরকার যখন প্রশ্ন করেছে এ টাকা কোথায় পেলে? তখন সার্টিফিকেটের জন্য এই কাজ করা হয়েছে। সাড়ে ৬ কোটি শ্রমিকের জন্য বাজেটে কিছু নেই। ঈদে তাদের মুখে হাসি ফুটবে না। তাদের সুলভ মূল্যে রেশন দেন। ফ্রি নয় টাকাতেই দেন। শ্রমিকদের সন্তানদের বিনা পয়সায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দেন। তা হলে নোবেল পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর পেছনে ঘুরবে।
তিনি আরো বলেন, ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০ টাকার শ্বাস কষ্টের সিরিঞ্জ ২৭০ টাকা হয়ে গেছে। এখন রুগ্ন মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হচ্ছে। নার্সিং, ফিজিওথেরাপির জন্য আলাদা কলেজ। আমলারা একদিকে। আর বাকিরা একদিকে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা কয়েক জায়গায় খেপ মারেন। অথচ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপকদের ট্যাক্স ধরেছেন এটা ঠিক না। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সরকারকে সামনের দিকে তাকাতে হবে। আগামী ২০ বছর কী হবে তা চিন্তা করতে হবে। তখন মানুষ হবে ২৫ কোটি। সরকারি তথ্যমতে ৪ কোটি মানুষের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। বয়স্ক লোকদের সেবা করাবে কে?