| |
               

মূল পাতা রাজনীতি পানিতে ডুবিয়ে ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মাসেতু দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী


ফাইল ছবি

পানিতে ডুবিয়ে ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মাসেতু দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     20 June, 2022     05:43 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে রেখে, পানিতে ডুবিয়ে ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী। আর ভারত থেকে নাচনিওয়ালি নিয়ে এসে সেখানে নাচাবেন, এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। জনগণের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন, এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবেনা। সময় এসেছে সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।

আজ (২০ জুন) সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে এবং বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতিকী অনশনে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

রিজভী বলেন, সিলেটের বন্যা আমরা যা দেখছি সকালে হাঁটুপানি দুপুরে মধ্যে কোমর পানি। গোটা সুনামগঞ্জ শহর রীতিমতো পানিতে ভাসছে। আর আপনি ভাসছেন আনন্দে আত্মহারায় পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু দেখিয়ে। পদ্মা সেতুর যে ভেলকিবাজি এটা জনগণ জানে যে তামাশা করছেন। জনগণের সঙ্গে একটা মশকরা করছেন। সিলেট সুনামগঞ্জ ৫০ লাখ লোক পানিবন্দি। তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা,আর পদ্মা সেতুর বিচিত্র অনুষ্ঠানে ভারত থেকে এসেছেন নাকি একজন নিত্যশিল্পী, তাকে নাকি দেবেন তিন কোটি টাকা। আর সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামের বন্যার্ত মানুষ তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন,আপনারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন তাহলে আজকে কেন রাত আটটা থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ কোথাও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ঢাকা তো এখন এক থেকে দেড় ঘন্টা রাত্রে, না হলে সকালে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আপনি যে সকল আইন করেছেন শুধু আপনার লোকজনদেরকে ধনী করার জন্য, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য। আপনাদের লোকজন যাতে বাংলার মানুষের ভাগ্য হরণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং এই টাকাতে বিদেশে পাচার করতে পারে আপনি সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন।