রহমত ডেস্ক 19 June, 2022 01:59 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের বন্যাটা একটু বেশি ব্যাপকহারে এসেছে। সারাদিনই প্রতিনিয়ত খবর রাখছি।চিরাচরিতভাবে ১০ বছর পরপর একটা বড় বন্যা বাংলাদেশে আসে। সবাইকে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম। সরকারের সবাইকে বলেছিলাম, এবারের বন্যা বিরাট আকারে আসবে। আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বন্যা প্রকৃতির খেলা এটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।
রোববার (১৯ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সাফ চ্যাম্পিয়ন-২০২১ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় ফুটবল দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌ-বাহিনীসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় সহযোগিতা করছে। বন্যাকবলিত মানুষের সহযোগিতার জন্য খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা, খাবার পানিসহ সবধরনের অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রত্যেকটা নেতা কর্মী বিভিন্ন এলাকায় তারা নিজ এলাকায় নেমে গেছে, তারাও সহযোগিতা করছে। খাবার বিতরণ থেকে শুরু করে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তা ছাড়া স্যালাইনের ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সেই সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য যা যা দরকার হতে পারে আর পানি নেমে গেলে যে অসুবিধাটা আসতে পারে তার জন্য প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তী সংকটের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পানি নেমে গেলে যে অসুবিধাটা আসতে পারে, তার জন্যও আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ থেকে সুনামগঞ্জে পানি নামতে শুরু করেছে। এই পানি যখন নামবে, তখন মধ্যাঞ্চল প্লাবিত হবে। আবার শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে। কাজেই বাংলাদেশে যদি আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশটা দীর্ঘদিন থেকে দেখি; তাহলে এটাই হচ্ছে নিয়ম, এটা হবেই। যখন বন্যা আসে পানি তখন এভাবেই প্লাবিত হয়।
মানুষের যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যাও মোকাবিলা করব, খেলাধুলাও চলবে। সবি আমাদের চলবে। এটাই আমাদের জীবন। এটাই মেনে নিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আগামী ২৫ তারিখে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। আমি মনে করি পদ্মা সেতু এমন একটা সময় উদ্বোধন করতে যাচ্ছি যেখানে একটা বন্যা একদিকে যখন শুরু হয়ে গেছে কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে এই বন্যা কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে। আমরা মনে আছে, আমি সবাইকে স্মরণ করাতে চাই ৯৮ সালে বাংলাদেশে সব থেকে ভয়াবহ বন্যা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হয়। ঠিক সেই বন্যা শুরু হওয়ার আগেই কিন্তু যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। সেটা উদ্বোধন করেছিলাম বলেই তখন সুবিধাটা হয়েছিল এই যে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে সব কাজগুলি করা যাচ্ছিল। বন্যায় যেহেতু আমাদের নদী অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে ওঠে, খড়স্রোতা হয়ে ওঠে, যোগাযোগের সুবিধা থাকে না। কিন্তু সেই সময় আমাদের এই দক্ষিণ অঞ্চল প্লাবিত ছিল, উত্তর অঞ্চল থেকে আমরা সব সময় সহযোগিতা পেয়েছিলাম সেই সময় বন্যা আমরা খুব সফলভাবে মোকাবিলা করেছিলাম।’