| |
               

মূল পাতা ইসলাম কেমন ছিলেন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম


কেমন ছিলেন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম


মুহাম্মদ হারুন আজিজী নদভী     19 June, 2022     01:45 PM    


রসূলুল্লাহর শারীরিক গঠন ও আকৃতি প্রসঙ্গঃ 
আনাস (রাঃ) বলেনঃ “রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ট দীর্ঘকায়ও ছিলেন না,আর খর্বকায়ও ছিলেন না। ধবধবে শুভ্র বর্ণও ছিলেন না আর বাদামীও ছিলেন না। অত্যাধিক কুঞ্চিত কেশবিশিষ্ট ছিলেন না,আবার একেবারে সটান কেশবিশিষ্টও ছিলেন না। তাঁর বয়স যখন চল্লিশ বছর হয় তখন আল্লাহ পাক তাঁকে নুবুওয়াত প্রদান করেন। অতঃপর মক্কায় দশ বছর এবং মদীনাতে দশ বছর অবস্থান করেন। তাঁর ৬০ বছর পূর্ণ হলে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ওফাত দেন। ওফাতকালে তাঁর মাথায় এবং দাড়ীতে বিশটি ছুলও সাদা হয়নি।”-(বুখারীঃ ৩৫৪৮,মুসলিমঃ ২৩৩৭) 

আনাস (রাঃ) আরো বলেনঃ “রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মধ্যম উচ্চতাবিশিষ্ট না দীর্ঘ আর না বেটে,সুন্দর ছিল তাঁর শারীরিক গঠন। আর তাঁর চুল অত্যধিক কুঞ্চিতও ছিল না এবং একেবারে সটান সোজাও ছিল না। তিনি গৌর বর্ণ ছিলেন। পথে হাঁটার সময় তিনি সম্মুখে ঝুঁকে দ্রুত চলতেন।”-(বুখারীঃ ৩৫৪৭,মুসলিমঃ ২৩৪৭।) 
বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেনঃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মধ্যম আকৃতির লম্বা ছিলেন। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান বেশ প্রশস্ত ছিল। -(বুখারীঃ ৩৫৫১,মুসলিমঃ ২৩৩৭।)  
আলী (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি লম্বাও ছিলেন না, আবার একেবারে বেঁটেও ছিলেন না। হাতের তালূদ্বয় ও পদতলদ্বয় এবং আঙ্গুলগুলি মাংসল ছিল। মস্তক বৃহৎ এবং অস্থি-গ্রন্থিগুলি মোটা ছিল। লোমের একটি সরু রেখা বক্ষ থেকে নাভি পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। পথ ছলা কালে এমনভাবে সম্মুখে ঝুঁকে দ্রুত হাঁটতেন যেন কোন নিম্ন স্থানে নামতেছেন,তাঁর অনুরূপ কাউকে আমি তাঁর পূর্বে দেখিনি,তাঁর পরেও দেখিনি। আল্লাহ তাআলা তাঁর উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।”(তিরমিযীঃ ১৩৬৪১,মুস্তাদরাকঃ ২/৬০৬,মুসনাদে আহমদঃ ১/৯৬/৭৪৬,শামায়েলে তিরমিযীঃ পৃঃ ১৫,হাদীস নং ৪) 

শিষ্টাচারঃ 
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন লোকজনের মধ্যে সর্বাধিক সৎচরিত্রবান। (মুসলিমঃ ২৩১০) 
সবার চেয়ে বেশী দানশীল এবং সবচেয়ে বাহাদুর। (বুখারীঃ ২৬২৭) 
তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন।(মুসলিমঃ ৭৪৬)
 উত্তম চরিত্রসমূহের পূর্ণতা বিধানের জন্য তিনি প্রেরীত হন। (আহমদঃ ২/৩৮১) 
যখনই তাঁকে দুটো দুনিয়াবী বিষয়ের মধ্যে একটিকে গ্রহণ করার ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে,তখনই তিনি সে দুটোর মধ্যে সহজতরটিকে গ্রহণ করেছেন-যদি তাতে পাপের আশঙ্কা না থেকে থাকে,কিন্তু যদি তাতে পাপের আশঙ্কা থাকতো তবে তিনি তা থেকে অতিশয় দুরে অবস্থান করতেন। আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যক্তিগত (কোন ক্ষতি বা কষ্টের) কারণে (কারো থেকে কখনো) প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি,কিন্তু যদি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের মার্যাদা বা সম্ভ্রম বিনষ্ট করা হতো তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে তিনি তার প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়তেন। (বুখারীঃ ৩৫৬০,মুসলিমঃ ২৩৭২।) 

আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ব্যতীত অন্য কোন সময়ে নিজের খাদেম অথবা স্ত্রীকে নিজ হাত দিয়ে প্রহার করেন নি। (মুসলিমঃ ২৩২৮) 

তিনি গালমন্দ ব্যবাহারকারীও নন, অশ্লীলভাষীও নন এবং অভিসম্পাতকারীও নন। (বুখারীঃ ৬০৩১,আহমদঃ ৩/১২৬) 

তিনি অশ্লীল ও কটুভাষী ছিলেন না,অশ্লীল আচরণও করেন নি। তিনি কখনো বাজারে গিয়ে শোরগোল করতেন না এবং অন্যায়ের প্রতিশোধ অন্যায়ের মাধ্যমে নেন নি। তিনি উদার মনে ক্ষমা করে দিতেন। (তিরমিযীঃ ২০১৬,আহমদঃ ৬/২৩৬) 

হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ “আমি দশটি বৎসর তাঁর খেদমতে ছিলাম। আমাকে কখনো উফ্ শব্দ বলেন নি। কোন কাজ (উল্টো) করে ফেললে জিজ্ঞাসা করতেন না যে,কেন করেছ? আর কোন কাজ না করে থাকলেও বলতেন না যে,কেন করনি?।” (বুখারীঃ ২৭৬৭, মুসলিমঃ ২৩০৯) 

লজ্জাশীলতাঃ 
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্তঃপুর বাসিনী কুমারীর চাইতেও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। আর তিনি যখন কোন কিছু অপছন্দ করতেন তা তাঁর চেহারা দেখেই আচঁ করা যেতো।” {বুখারীঃ ৬১০২}

দয়া ও নম্রতাঃ 
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আমি অভিসম্পাতকারী হিসেবে প্রেরীত হইনি। আমি রহমত ও দয়া হিসেবে প্রেরীত হয়েছি। {বুখারী,আদবূল মুফরাদঃ ৩২১, মুসলিমঃ ২৫৯৯} 
আনাস (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এর চেয়ে বেশী নিজ পরিবারের জন্য দয়াবান অন্য কোন ব্যক্তিকে আমি দেখিনি। (মুসলিমঃ ২৩১৬, আহমদঃ ৩/১১২) 
তিনি কোথাও সফরে গেলে পিছনে থাকতেন এবং দুর্বলদেরকে সাহায্য করতেন। নিজের সাওয়ারীতে পিছনে বসাতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন।” {আবূ দাউদঃ ২৬৩৯,হাকেমঃ ২/১১৫/২৫৪১}
মালেক ইবনে হুরাইরিস (রাঃ) বলেনঃ “আমরা একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হলাম। আমরা ছিলাম সমবয়সী যুবক। আমরা তাঁর খেদমতে প্রায় কুড়ি দিন অবস্থান করেছিলাম। তিনি ছিলেন স্নেহপরায়ণ। আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা বাড়ী ফিরে যাও এবং লোকজনকে দ্বীনের শিক্ষা দাও।” {বুখারীঃ ৬২৮, মুসলিমঃ ৬৭৩}

নিজের কাজ নিজে করতেনঃ 
“তিনি কাপড় সেলাই করতেন, বকরী থেকে দুধ দোহন করতেন এবং নিজের খেদমত নিজে করতেন।” {সিলসিলা সহীহাঃ ৬৭১}
তিনি গাধায় সাওয়ার হতেন, জুতা মেরামত করতেন,কামীছে নিজে তালি লাগাতেন এবং পশমী চাদর পরিধান করতেন। {সহীহুল জামেঃ ৪৯৪৬}
অন্য লোকেরা নিজ নিজ ঘরে যে কাজ করে থাকেন তিনিও তা করতেন।”{সহীহুল জামেঃ ৪৯৩৭} 
নিজের কোরবানীর জন্তু নিজ হাতেই জবাই করতেন। {আহমদঃ ৩/১১৮,সহীহুল জামেঃ ৪৯৪২}
যমযমের পানি বহন করতেন।{তিরমিযী,সহীহাঃ ৮৮৩}

বিনয় ও নম্রতাঃ 
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন বিধবা বা কোন মিসকীনের সাথে চলতে ও কুন্ঠাবোধ করতেন না। {নাসায়ীঃ ৩/১০৮,হাকেমঃ ২/৬১৯,ইবনু হিব্বানঃ ২১২৯} 
তিনি ছোটদেরকেও সালাম করতেন। {মুখতাছারু মুসলিমঃ ১৪৩১}

তিনি মাটিতে বসে পড়তেন, মাটিতে বসে খেতেন,ছাগল বাঁধতেন,আর কোন দাস জবের রুটি খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলে তাও গ্রহণ করতেন। {ত্বাবরানী সহীহুল জামেঃ ৪৯১৫}
এক ব্যক্তি তাঁর সাথে কথা বলতে গিয়ে ভয়ে কাঁপতে ছিল। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি স্থির হও,আমি কোন সম্রাট নই,আমি তো এক কুরইশী মহিলার সন্তান। {ইবনে মাজাহঃ ৩৩১২,সহীহাঃ ১৮৭৬}
তিনি বলেনঃ আমি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ,আমি আল্লাহর বান্দা এবং রসূল। আল্লাহ পাক আমাকে যেই মার্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন তার চেয়ে উপরে তোমরা আমাকে স্থান দাও, এটা আমি ভালবাসি না। {বুখারী-তারীখে সাগীর,মুসনাদু আহমদঃ ৩/১৫৩, সিলসিলায়ে সহীহাঃ ১৫৭২}

তিনি আরো বলেছেনঃ “তোমরা আমার প্রশংসা করতে অতিরঞ্জিত করো না,যেমন মরিয়মের পুত্র ঈসা (আঃ) সম্পর্কে করেছিল নাসারারা। আমি একমাত্র আল্লাহর বান্দা। তবে তোমরা বলবে,‘আল্লাহর বান্দা এবং রসূল’। {বুখারীঃ ৩৪৪৫}

ধৈর্য্য ও ক্ষমাশীলতাঃ 
হযরত মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস্সুলামী (রাঃ) বলেনঃ “আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে ছালাত আদায় করছিলাম। ইত্যবসরে আমাদের মধ্যে একজন হাঁচি দিল। আমি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললাম। তখন লোকেরা আমার দিকে আঁড় চোখে দেখতে লাগল। আমি বললামঃ আমার মায়ের পুত্র বিয়োগ হোক। তোমরা আমার প্রতি তাকাচ্ছ কেন? তখন তারা তাদের উরুর উপর হাত চাপড়াতে লাগল। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে,তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে,তখন আমি চুপ হয়ে গেলাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  সালাত শেষ করলেন, আমার মাতা-পিতা তাঁর জন্য কোরবান হোক,আমি তাঁর মত এত সুন্দর করে শিক্ষা দিতে পূর্বের কাউকে দেখিনি,তাঁর পরেও কাউকে দেখিনি। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে ধমক দিলেন না,মারলেন না,গালিও দিলেন না। বরং বললেনঃ ছালাতে কথাবার্তা বলা ঠিক নয়। বরং তা হচ্ছে-তাসবীহ,তাকবীর ও কুরআন পাঠের জন্য। {মুসলিমঃ ৫৩৭}
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ “একবার এক বেদুইন মসজিদের মধ্যে দাঁড়িয়ে পেশাব করে দিল। অতঃপর লোকজন এতে হৈ চৈ শুরু করে দিল। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তাকে ছেড়ে দাও এবং তার পেশাবের স্থানে এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কেননা তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলা মানুষের সঙ্গে কোমল ব্যবহার করার জন্য প্রেরণ করেছেন,কঠোর ব্যবহারের জন্য নয়।”{বুখারীঃ ২২০,নাসায়ীঃ ১/৪৮}

দানশীলতাঃ 
হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকজনের মধ্যে সর্বাধিক দানশীল ছিলেন।” {বুখারীঃ ২৬২৭}
হযরত জাবের (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তিনি কোন দিন না বলেন নি।” {বুখারীঃ ৬০৩৪} 
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ লোকদের মধ্যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বাধিক দানশীল এবং রমযান মাসে জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সঙ্গে মিলিত হতেন তখন তিনি অধিকতর দানশীল হয়ে যেতেন। আর জিবরাঈল (আঃ) রমযান মাসের প্রত্যেক রাত্রিতে তাঁর সাথে মিলিত হতেন এবং তাঁকে কোরআন শিক্ষা দিতেন।”-{বুখারীঃ ৩৫৫৪}

শিশুদের প্রতি দয়াঃ 
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে শিশুদেরকে নিয়ে আসা হত। তিনি তাদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং কিছু চিবিয়ে তাদের মুখে দিতেন। এবার একটা শিশুকে তাঁর কাছে আনা হল। অতঃপর শিশুটি তাঁর শরীরে পেশাব করে দিল। অতঃপর তিনি পানি আনায়ে পেশাবের জায়গায় ঢেলে দিলেন।” {মুসলিমঃ ২৮৬}
তিনি হযরত উম্মে সালমার (রাঃ) মেয়ে যায়নাবের সাথে খেলা করতেন এবং অনেকবার হে যুয়াইনাব! বলে ডাকতেন।”{সহীহঃ ২১৪১}

তিনি কখনো আনসারীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যেতেন। তাঁদের ছেলে-মেয়ে দেরকে সালাম করতেন এবং তাদের মাথায় হাত বুলাতেন।” {সহীহুল জামেঃ ৪৯৪৭}যখন কোন সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন পরিবারের ছেলেরা তাঁকে ঘিরে ধরত। {সহীহুল জামেঃ ৪৭৬৭}

বিবিধঃ 
তিনি সদা সর্বদা আল্লাহর যিকির করতেন। {মুসলিমঃ ৩৭৩}
তিনি আগামীকালের জন্য কিছু জমা রাখতেন না। {তিরমিযীঃ ২৩৬২}
তিনি কখনো হাস্য রসিকতাও করতেন কিন্তু তাতেও অসত্য কিছু বলতেন না। {তিরমিযীঃ ১৯৯০}
কোন খারাপ নাম শুনলে ভাল নাম দিয়ে তা পরিবর্তন করে দিতেন। {সহীহাঃ ২০৭}
কখনো কোন ভয়ভীতি মনে আসলে বলতেনঃ “আল্লাহ আল্লাহ রাব্বী লা শারীকা লাহু”। {নাসায়ী,সহীহুল জামেঃ ৪৭২৮}
কোন প্রয়োজন পেশ হলে তাড়াতাড়ি নামাজ পড়তেন। {সহীহ আবূ দাউদঃ ১৯২}
কোন খুশীর খবর পেলে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন উদ্দেশ্যে সেজদা রত হতেন। {সহীহুল জামেঃ ৪৭০১} 
তাঁর কাছে সব চাইতে খারাপ চরিত্র ও অপছন্দনীয় ছিল মিথ্যা। {বায়হাকী,সহীহঃ ২০৫১}