| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি ‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব বাতিল করা উচিত’


‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব বাতিল করা উচিত’


রহমত ডেস্ক     18 June, 2022     11:11 PM    


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, দেশে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করে বাজেটে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব অন্যায়কে স্বীকৃতি দেওয়া। ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি বাতিল করা উচিত।

শনিবার (১৮ জুন ২০২২) এফডিসিতে করোনার অভিঘাত উত্তরণে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র আয়োজনে ছায়া সংসদে বিচারক ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাইনুল আলম, সাংবাদিক শারমীন রিনভী, সাংবাদিক জাহিদ রহমান ও সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতাটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক।

ড. নাজজনীন আহমেদ বলেন, ইতিপূর্বে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়াও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতির যে শক্তিশালী অবস্থান তা আরো মজবুত করতে সুশাসনের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নিয়ে ডলারের উপর বোঝা না বাড়িয়ে ঘাটতি বাজেট পূরণে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। করোনা অভিঘাত উত্তরণে অন্তত পরবর্তী এক বছর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা উচিত। বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের উপর চাপ তৈরি করে। বাজেটে প্রতি বছর ঘাটতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। ঘাটতি বাজেট পূরণে সরকার যদি আভ্যন্তরীন ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ গ্রহণ করে তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ার শংকা থাকে। অন্যদিকে সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক উৎস থেকে কম বেশি ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ আনার কথা ভাবছে। অথচ দুই বছর আগেও বৈদেশিক উৎস থেকে গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। বিদেশি ঋণ বৃদ্ধির এই চিত্র সুখকর নয়।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমাদের মতো দেশের বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ব্যয় বৃদ্ধি করা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশে যাতে শ্রীলঙ্কার মতো কোন শ্বেতহস্তি প্রকল্প তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।