| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ : সানেম


প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ : সানেম


রহমত ডেস্ক     14 June, 2022     11:46 AM    


প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার থাকলেও প্রকৃত অর্থে তা করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জিডিপির দুই শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পেনশন, বৃত্তি ও সুদ বাদে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রকৃত বরাদ্দ জিডিপির ১ শতাংশের মতো। এমনকি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এ বরাদ্দ কমেও গেছে। সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ ছিল এ খাতে। প্রস্তাবিত বাজেটে কমে হয়েছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। সোমবার (১৩ জুন)  রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে এসব কথা বলেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেম।

অনুষ্ঠানে সানেমের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়েমা হক বলেন, মূল্যস্ফীতির বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তার ভাতার পরিমাণ বাড়ানো দরকার ছিল। খোলাবাজারে বিক্রিতেও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটি দেখা গেছে বাজেটে। এটি সরকারি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সানেমের উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। চাহিদা কমিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর কৌশলের কথা বলা হলেও কীভাবে সেটি করা হবে, তা পরিস্কার করা হয়নি।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, বাজেটের পর পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে যত বেশি আলোচনা হচ্ছে, বাজেটের মূল কাঠামো নিয়ে ততটা আলোচনা হচ্ছে না। অথচ মূল কাঠামোতে অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সব দিক থেকেই অনৈতিক। টাকা ফেরত আনার পরিবর্তে কীভাবে পাচার হলো, সে প্রশ্ন তোলা উচিত বলে মনে করেন সেলিম রায়হান। প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব, করপোরেট করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা বড় ব্যবসায়ীদের জন্যই বেশি প্রযোজ্য। কিন্তু গত দুই বছরে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা খুব বেশি সহায়তা পায়নি।

সানেমের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল। বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার পরামর্শ ইউনেস্কোর। আগামী অর্থবছর শিক্ষায় বাজেটের ১২ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর জিডিপির অনুপাতে এটি ২ শতাংশের কম।