রহমত ডেস্ক 12 June, 2022 07:25 PM
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অতীতের মতো বৈষম্য, লুটপাটের দলিল এবং ঋণনির্ভর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ডলারের বিপরীতে স্বল্পতম সময়ে টাকার মারাত্মক অবমূল্যায়ন ও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। অথচ এই বাজেটে তার কোনও সমাধান নেই। এ বাজেট আমলা ও লুটেরা নির্ভর।আজ (১২ জুন) রবিবার দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকেদের অবৈধ টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশ-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন। বাজেটে বরাবরের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হবে। এই বাজেট আয় বৈষম্য, সম্পদ বৈষম্য, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে কোনও ভূমিকা নেবে না, বরং বৈষম্য বাড়াবে।প্রস্তাবিত বাজেটে মেগা প্রকল্পসমূহের ধার মেটাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে; অথচ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পই এখন অপ্রয়োজনীয়। ঋণনির্ভর এই বিশাল ঘাটতি বাজেটের দায় মেটাতে হবে শেষ পর্যন্ত চরম দুর্দশায় থাকা সাধারণ মানুষকেই। ধার করে ঘি খাওয়ার এই বাজেটে খাদ্যপণ্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতিতে পুড়ে মরা কোটি কোটি মানুষের জন্য কোনও সুখবর খবর নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের উৎপাদন আমদানি, বিপণন, বিক্রয় ও বণ্টনে সরকারের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ বাজেটে দৃশ্যমান নয়।