রহমত ডেস্ক 01 June, 2022 06:10 PM
সরকার ১০১০টি মাদরাসা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যয় ধরা ১৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকা হয়েছে। এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের পরিকল্পনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এটি শেষ হবে। এসব মাদরাসা ৬৪ জেলায় বাস্তবায়িত হবে।
আজ (১ জুন) বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের সভায় এই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া আরো আট প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই নয় প্রকল্পের জন্য মোট দুই হাজার ৬৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবারের একনেক সভায় সশরীরে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে আর সশরীরে একনেক বৈঠকে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী। ফলে দুই বছরেরও বেশি সময় পর তিনি একনেক বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত হলেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একনেক সভা প্রায় ২ হাজার ৬৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত নয়টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য : সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া। আরবি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতার মানোন্নয়ন করা। সাধারণ শিক্ষিতদের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিশেষ করে সরকার স্বীকৃত সনদধারী আলিয়া ও কওমি মাদরাসা থেকে উত্তীর্ণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার ৩০ জনকে দেওয়া হবে সম্মানী। এর মধ্যে দুই হাজার ২০ জন শিক্ষকের মাসিক সম্মানী ও এক হাজার ১০ জন সহায়ক কর্মীর সম্মানী অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া চার হাজার ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩৮ হাজার ৩৮০টি শিক্ষা উপকরণ, সাত হাজার ৪০৩টি আসবাবপত্র, তিন হাজার ৪৩টি অফিস সরঞ্জাম ও আটটি কম্পিউটার কেনা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ১১টি ফ্যাক্স, তিন হাজার ৩৪টি বই-সাময়িকী, চার হাজার ৪০টি প্রচার, বিজ্ঞাপন, মুদ্রণ-বাঁধাইসহ দুটি যান চুক্তিভিত্তিক ব্যবহার হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব উপজেলায় মাদরাসা পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান এবং পরবর্তী শিক্ষায় উৎসাহিত করা হবে। ফলে প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রকল্পটি ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশে সাক্ষরতার হার বাড়ানো, আরবি ভাষা শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।