রহমত ডেস্ক 23 May, 2022 08:04 AM
বান্দরবানে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম। সোমবার (২৩ মে) দুপুরে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারা ও তৎসহ দণ্ডবিধি ৫০৬ (২) ধারার ধর্ষণের আইনে বাদী পক্ষ হয়ে আইনজীবী দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত এই মামলাটির দায়ের করেন।
মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ কথা বলতেন ওই নারীর সঙ্গে। এক পর্যায়ের ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুরআন শপথ করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখান। এরপর ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে বিভিন্ন সময় ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন। এমনকি নিজের অফিনে একটি কক্ষকে শয়ন কক্ষ বানিয়ে সেখানে নিয়েও ওই নারীকে ধর্ষণ করতেন বলেও ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়।
অভিযুক্ত মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে অফিসের একটি কক্ষকে শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন জানিয়ে বলেন, অফিসের ভেতর আমার শয়নকক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশে করা হয়েছে।
বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম জানান, মামলার শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনো এ ধরনের কোনো মামলার কপি হাতে পাইনি। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।