| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ না হলে অ্যাকশন


অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ না হলে অ্যাকশন


রহমত ডেস্ক     28 May, 2022     08:03 PM    


দেশে সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোববারের (২৯ মে) মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যে যেসব অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হবে না, সেসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য  অধিদপ্তর।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। 

তিনি জানান, দেশজুড়ে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আমাদের অভিযান চলছে। আগামীকাল রোববার বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টা সময় শেষ হচ্ছে। তারপর আমরা বসব এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা নেব। ঘোষণার পর এরইমধ্যে কতগুলো ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের পর আমরা বিষয়টি আপনাদের জানিয়ে দেব।

দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সে বিষয়ে বেলাল হোসেন জানান, সেই তথ্য স্বাস্থ্য  অধিদপ্তরের কাছে নেই। কিন্তু তথ্য না থাকলে কিসের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল হোসেন বলেন, এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। ধরুন নরসিংদিতে ৫০টি নিবন্ধিত ক্লিনিক ও  ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেই তালিকাটিও কিন্তু ওই জেলার সিভিল সার্জনের কাছে আছে। এর বাইরে যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেগুলো কিন্তু অবৈধ।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  সভায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অবৈধ সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে আদেশ দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত বুধবার (২৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), সিভিল সার্জন (সকল) ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় অ্যানেস্থেশিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।