| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অন্ধকার সময়ের মুখে : বাইডেন


ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অন্ধকার সময়ের মুখে : বাইডেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     24 May, 2022     10:18 PM    


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর জেরে গোটা বিশ্ব বর্তমানে এক অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থাকে রক্ষা করা একটি ‘বৈশ্বিক ইস্যু’ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই বৈঠক বিশ্বে মাথাচাড়া দিতে থাকা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বৈঠক। এখানে আমরা যারা উপস্থিত রয়েছি, প্রত্যেকেই গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থাশীল। আজ (২৪ মে) মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা জোট কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ-কোয়াড বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বাইডেন বলেন, এটা কেবল মুখের কথা নয়। নিজ নিজ দেশে সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ চর্চা আমরা করে থাকি। আপনারা সবাই জানেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বর্তমানে এক অন্ধকার সময়ের মুখোমুখী। বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন দুর্যোগ আসেনি। এবং বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পড়েছে এ যুদ্ধের প্রভাব। রাশিয়া একদিকে নিজেরা শস্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছে, অন্যদিকে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি আটকে দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে খাদ্যসংকট। বর্তমানে বিশ্ব যে সংকটের মুখে আছে, তা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিটি পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সাড়া দেবে এবং এই ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলেও শক্তিশালী ও সহনশীল অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা পালন করবে— এ প্রতিশ্রুতি আমি করছি।

দক্ষিণ চীন সাগর, জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসগারের এশীয় অংশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে ২০১৭ সালে কোয়াড গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত— এই চার দেশ। এই নিরাপত্তা জোটের সম্মেলনে যোগ দিতেই টোকিওতে এসেছেন জো বাইডেন। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটি তার প্রথম এশিয়া সফর। বৈঠকে ইন্দো-প্রশান্ত সমুদ্র অঞ্চলে চীনের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখতে একটি সার্ভেইলেন্স সিস্টেম গঠনে সম্মত হয় কোয়াডের চার সদস্যরাষ্ট্র। আগামী ৫ বছরে ৫ হাজার কোটি ডলার ব্যায়ে তৈরি করা হবে এই সাভেইলেন্স সিস্টেম।

এদিকে মঙ্গলবার টোকিওতে যখন কোয়াডের বৈঠক চলছে, সে সময়ই জাপানের আকাশসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। জাপানের বিমানবাহিনী অবশ্য সেসব যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে নিজেদের আকাশসীমা থেকে দূর করে দিয়েছে। বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন।