এ বি সিদ্দীক 23 May, 2022 03:17 PM
গত ১১ মে জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে এমন অভিযোগ এনে ১১৬ ওয়ায়েজিন (ধর্মীয় আলোচক) ও এক হাজার মাদরাসার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’। এ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে গণকমিশনের বিরুদ্ধে দুদকে স্মারকলিপি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসলামিক কালচারাল ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা)।
সোমবার (২৩ মে) বেলা ১১টার কিছু পরে তিন দাবিতে স্মারকলিপি নিয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
স্মারকলিপিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়-ব্যয় ও তহবিলের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতাদের সম্পদের উৎস ও আয় ব্যয়ের হিসাব। গণকমিশনের শ্বেতপত্রের অর্থের জোগান দাতার তথ্য খোঁজ নিতে তারা দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ চেয়েছেন।
স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার সময় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গণকমিশন ১১৬ জন আলেম ও ইসলামি বক্তা এবং সহস্রাধিক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে দুই হাজার পৃষ্ঠার যেসব অভিযোগ এনেছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। ‘আমরা মনে করি, এটি একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কালচারাল ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী,সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. নাজমুল হক, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবু জাফর কাসেমী মাওলানা মানসূরুল হক, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতি ওয়াহিদুল আলম মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, আলহাজ ফজলুল হক হাফেজ ও মাওলানা মোতাহার উদ্দিন।