গণকমিশনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১১৬ জনকে ধর্ম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস’ তদন্তে গঠিত গণকমিশনের অভিযোগের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে লায়ন্স ক্লাবের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কোন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের ধর্ম ব্যবসায়ী বলা হয়েছে সেটি তিনি জানেন না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শ্বেতপত্রটি পর্যালোচনা করা হবে। এটি নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে শক্ত হাতে সেটি দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এদিকে, গণকমিশনের দেয়া শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের আলেম সমাজ। গত ১২ মে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেয়া ওই শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা, আলেমদের তত্ত্ববধানে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ওয়াজ মাহফিল সম্পর্কে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

সম্প্রতি ১১৬ ওয়ায়েজিনের (ধর্মীয় বক্তা) একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় ধর্মীয় বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ আনে গণকমিশন।