| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিদ্যুতের দাম ৫৭.৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ


বিদ্যুতের দাম ৫৭.৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ


রহমত ডেস্ক     18 May, 2022     05:16 PM    


বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিউবোর প্রস্তাবিত ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে দেশে বিদ্যুতের দাম ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসির কারিগরি টিম। বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়েছে। শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার বর্তমানে পাইকারি রেটে ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৩৯ পয়সা ভর্তুকি দিচ্ছে। পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিউবোর। ভর্তুকি এড়াতে বিউবো প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়িয়ে ৮ টাকা ১৬ পয়সা করার সুপারিশ করে বিইআরসি। বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা নির্ধারণ করে। বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিপিডিবি। নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি ও বেসরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে। ৫টি বিতরণ কোম্পানির কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে আসছে। আর নিজেরা ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের শহরাঞ্চলে বিতরণ করে যাচ্ছে।

বিপিডিবির পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বিদ্যুতে গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, কয়লার মূসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিট প্রতি উৎপাদনখরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়। পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিপিডিবির লোকসান হবে।