রহমত ডেস্ক 16 May, 2022 10:27 PM
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সামনে বড় কঠিন সমস্যা। শ্রীলঙ্কাকে দেখে শেখা উচিত। ১০ দিন পূর্বেও পৃথিবীর কোনো বিশেষজ্ঞ বলেনি যে শ্রীলঙ্কায় আগুন জ্বলবে। মানুষের ধৈর্যের সীমা আছে। সে ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করছে। অনেকে বলে, শ্রীলঙ্কা হব না। ক্যামনে জানেন? শ্রীলঙ্কা তো শান্তির দেশ। তাদের জাতীয় বীর নাই হয়ে গেছে। সুতরাং সাধু সাবধান। জনগণ ভুলে যাবে না। জনগণের পেটে ক্ষুধার বড় জ্বালা। বাচ্চা যদি দুধ না পায়, মা সহ্য করতে পারে না। আত্মহত্যা করে। অথবা শিশুর গলা টিপে ধরে। একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র দরকার যেখানে আমি-আপনি সবার সমান অধিকার থাকবে।
আজ (১৬ মে) সোমবার বিকালে রাজশাহী নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চের ৪৬ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ফারাক্কা লং মার্চ উদ্যাপন কমিটি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফারাক্কা লং মার্চ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, মাওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামূল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের জেলা সভাপতি এনামুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহীর সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এনামুল হক, ড. জিএম শফিউর রহমান প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে দু’কোটির বেশি পরিবার অর্ধাহারে আছে। প্যান্ট-শার্ট পরা লোকেরা টিসিবির ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এই রকম পরিস্থিতিতে মানুষ দিনকে দিন বলতে পারে না। দিনকে তারা রাত হিসেবে দেখে। অথচ কত সহজে এ সমস্যার সমাধান করা যেত। সরকার অপচয় করছে, সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন এবং ২ কোটি পরিবারকে সামরিক দরে রেশন দেন। এ সবই করা সম্ভব। কিন্তু তা না। আপনারা করছেন অপচয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছেন, কিন্তু এখনো কুইক রেন্টাল কেন রেখেছেন? এই সব রাগ-ক্ষোভ কমানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরকার, যাঁরা মানুষের রাগ কমাবে। নির্বাচন হয়ে যাবে। নির্বাচনে যে জিতবে সে আসবে, তাতে কোনো ক্ষোভ থাকবে না।
নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আর উল্টাপাল্টা কইরেন না। ছেড়ে দেন একটা আন্তর্জাতিকমানের সরকারের হাতে। সুষ্ঠু নির্বাচন করেন। নির্বাচনে যারা আসবে তারা থাকুক। পৃথিবীর অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। শিক্ষকেরা সাহসী হন। রাস্তায় নেমে আসেন। কল্যাণকর রাষ্ট্রের জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে সংগ্রাম করতে হবে। সেই সংগ্রামে আপনাদের সঙ্গে আছি। যতই বয়স হোক, হুইল চেয়ারে বসে থাকলেও আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।