| |
               

মূল পাতা রাজনীতি কুসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো : বিএনপির সাক্কু


কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু / ফাইল ছবি

কুসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো : বিএনপির সাক্কু


রহমত ডেস্ক     14 May, 2022     05:15 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন-কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন। আমি যতটুকু জেনেছি বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। আমি চিন্তা করেছি দলের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। জনগণের স্বার্থে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আজ (১৩ মে) শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহারের অনুসারী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। 

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে  মনিরুল হক সাক্কুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে কুসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। সেই সময় সাক্কু দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন। পরবর্তীতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে পুনরায় তাকে বিএনপিতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের দ্বিতীয়বারের কুসিক নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন। তবে এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। 

এবারের কুসিক নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ২০১৭ সালের নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। দুপুর ১২টার পর কোনো মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমার পক্ষে গণজোয়ার থাকায় বিপুল ভোটে পাস করেছিলাম। ইভিএমে যদি কারচুপি হয়, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে, সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।  আমি তো আর সিস্টেম পাল্টাতে পারব না। নির্বাচনে আরও প্রার্থী থাকবে, তারাও আশা করি সুষ্ঠু ভোট দাবি করবেন। জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেব।

তিনি আরো বলেন, আমি বিএনপির বাইরের কেউ না। আগে বিএনপি করেছি, সারাজীবন বিএনপি করে যাব। বিএনপি আমার রক্তে মিশে আছে। আমি বিগত সময় বিএনপির কথা শুনি নাই, কেন শুনি নাই আমি তা খালেদা জিয়াকে বুঝিয়ে বলেছি। আমি যদি নির্বাচন না করতাম বিএনপি একটি মেয়র হারাতো। এ বছরও নগরবাসীর ইচ্ছায় আবারও নির্বাচন করছি। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সদ্য প্রয়াত আফজল খাঁনকে হারিয়ে জয় লাভ করেছি।  এখানে ভয়ভীতি কিছু নাই। জনগণ আমাকে চেয়েছে, আমি নির্বাচিত হয়েছি। সুতরাং আওয়ামী লীগের যতই হেভিওয়েট প্রার্থী আসুক আমার সমস্যা হবে না। আমার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য জনগণের ইচ্ছায় শেষ বারের মতো মেয়র নির্বাচন করব।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন ইভিএমের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ১৭ মে পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যলয়ে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা নেওয়া হবে। ১৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে যাচাই-বাছাই হবে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। ভোটগ্রহণ শেষে ১৫ জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ভোটের আগে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ করা হবে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে। এ নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে ৬৪০টি ভোট কক্ষ থাকবে।   কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।