রহমত ডেস্ক 09 May, 2022 04:16 PM
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় চতুর্থ দফায় চার জনের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ (সোমবার)। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ৯ ও ১০ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
তাদের মধ্যে দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী দিয়েছেন। সাক্ষীরা হলেন- সেলুন ও পরিবহন ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান শান্ত ও মো. শফিকুল ইসলাম সাগর। দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ৯ ও ১০ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বেলা ১১ থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষীরা বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরে জানেন না, মনে নেই বলে জানিয়েছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের পর জেরা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ন্যায় বিচার পাবো।
এদিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া নামের দুজনের সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নির্ধারণ থাকলেও তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষী দিয়েছে। পরবর্তী সাক্ষী গ্রহণের সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে। সাক্ষ্য গ্রহণের পর মাওলানা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাঈল ও রিশিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।