রহমত ডেস্ক 06 May, 2022 03:35 PM
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন। এটা প্রত্যাখ্যানের কোনো সুযোগ নেই। তার নেতৃত্বে গত ১৩ বছর দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন কমিশন পেয়েছি। যেই কমিশন আগামীতে একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। অথচ বিএনপি গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
আজ (৬ মে) শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভায় পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, আজ বিএনপি বড় বড় কথা বলছে। আমরা নাকি তাদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছি না। অথচ তারা যখন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা আওয়ামী লীগকে রাস্তায়ই দাঁড়াতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ অফিসের ফুটপাতেও আমরা দাঁড়াতে পারিনি, আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। অথচ আজ তারা মিছিল করছে মিটিং করছে। আমাদের বিরুদ্ধে বিষদগার করছে। গণতান্ত্রিক সব সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি কীভাবে নির্যাতন করেছিল তা বর্ণনা করার মতো না। তারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর নির্বাচন করেছে তারা। এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। যেটা গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় পড়ে না। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৩ বছর ধরে দেশটা উন্নতির শিখরে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে বাংলাদেশের অগ্রগতি নেই। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন নন্দিত নেত্রী।
আহসানুল্লাহ মাস্টার সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করে তিনি আরো বলেন, আমি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। এরশাদের সময়ে ও জিয়ার সময়ে তিনি রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছেন। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছি। শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়েছিলেন। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা তিনি পেয়েছিলেন। যেই অপশক্তি তাকে হত্যা করেছিল তারা কিন্তু এখনো বাংলাদেশটাকে একটা সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করছে। হত্যার ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাদের রাজনীতি শুরু হয়েছিল, আজও তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হয়ে দেশটাকে গ্রাস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।