| |
               

মূল পাতা রাজনীতি শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানোসহ ৭ দফা সুপারিশ এসএনএফের


শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানোসহ ৭ দফা সুপারিশ এসএনএফের


রহমত ডেস্ক     26 April, 2022     04:13 PM    


শ্রমিকের নিরাপত্তায় দেশজুড়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শ্রম আদালতের কার্যক্রম নিয়মিত পূর্ণ সময় পরিচালিত এবং শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিতসহ ৭ দফা সুপারিশ করেছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ।

সুপারিশগুলো হচ্ছে; আইএলও কনভেনশন ১০২ ও ১২১ অনুসমর্থন করা ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ৫ম তফশিল ও দ্বাদশ অধ্যায় সংশোধন করতে হবে এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণে ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনে সংযোজন করতে হবে; আইনজীবীদের শ্রমিকদের আইনগত সহায়তা প্রদানে আরও কার্যকারী ভূমিকাসহ শ্রমিকদের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ভূমিকা রাখতে হবে; ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা, শ্রমিকদের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তাসহ শ্রম আইন সংশোধনীতে জোরালো ভূমিকা রাখা; মালিকদের আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কর্মস্থল ও জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখা এবং শ্রমিকদেরও নিজ অধিকার রক্ষায় আরও সচেতন হতে হবে ও আইন অনুযায়ী অধিকার বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আজ (২৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম আয়োজিত ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৯ বছর-শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিতে করণীয়’' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব সুপারিশ জানানো হয়। শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, কর্মজীবী নারী নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রম আইন পুনঃপরীক্ষা করতে হবে। বিদ্যমান আইনে শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিধিবিধান যথাযথ নয়। আমাদের শ্রম আইনটা এতটাই জটিল যে এর সরল কোনো ব্যাখ্যা দেওয়াই সম্ভব নয়। ২৩, ২৬, ২৭ ধারার মতো যে আইনে শ্রমিকদের শাস্তির বিধান আছে সেগুলো যথাযথ মানা হয়। কিন্তু ওভারটাইমসহ শ্রমিক স্বার্থের পক্ষের আইনগুলো মালিকরা মানেন না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, ২০১৩ সালে বিভিন্ন কল কারখানায় যে অবস্থা ছিল তা কিছুটা বদলেছে। আমরা শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই। ১৯৮৪ সালে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ যেভাবে দাবি তুলেছিল সেই আন্দোলন কোথায়? শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কোথায়? ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন ছাড়া শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব নয়।'