রহমত ডেস্ক 24 April, 2022 11:24 PM
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, বিগত দুই বছর করোনায় যাতাকলে বাংলাদেশের অসংখ্য পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ আরো বেশি দরিদ্র হয়েছে। সমাজের সামর্থবানদের প্রত্যেককেই দল-মত, সাদা-কালো নির্বিশেষে এসব অসহায় দরিদ্র শ্রেণির পাশে দাঁড়াতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের সাহায্য করতে হবে। ক্ষুধার্তদের খাবার সরবরাহ করতে হবে।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে স্থানীয় একটি মাদরাসার হলরুমে ইসলামী ছাত্র খেলাফত ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ‘মুফতী ফজুলুল হক আমিনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্মরণে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী হিফজুর রহমানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মিরপুর জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলূমের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস মুফতী নাসির উদ্দিন কাসেমী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. আবুল হাশিম শাহী, ইলিয়াছ আহমদ, অর্থ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, মহানগর উত্তরের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ ধনী মুসলিম দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোর চেয়ে প্রায় ২০০ গুণ বেশি সমৃদ্ধ। কিন্তু এসব ধনী মুসলমান দেশগুলো যদি দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোকে জাকাত আদায় প্রদান করে। আর সেই জাকাতের যদি সুষম বন্টন হয়। তবে কোনো মুসলিম দেশ দারিদ্র্যের শিকার হবে না। আল্লামা মুফতী আমিনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আমৃত্যু ইসলাম, দেশ ও মুসলমানদের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তিনি বাতিলের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদী ছিলেন। বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের স্বপ্ন দেখতেন এবং সেই লক্ষ্যে তিনি রাজনীতি করতেন। ইসলামী ছাত্র খেলাফত কর্মীদের নিরলসভাবে মুফতী আমিনী রহমাতুল্লাহি আলাইহির স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাকওয়ার ভিত্তিতে আমাদের সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বক্তারা বলেন, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহমাতুল্লাহি আলাইহির ইন্তেকালের পর থেকে দেশে ইসলাম বিরোধী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নাস্তিক-মুরতাদ, কাদিয়ানি সম্প্রদায় ও আর্ন্তজাতিক ইহুদি-নাসারাদের দেশীয় এজেন্টরা মাঠে নেমেছে। তারা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে। তাদের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে ধৈর্য্য ও কৌশলের সাথে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহর যমীনে দ্বীন কায়েমের জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।