| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব মাও. ফজলুর রহমানের আগাম নির্বাচনের দাবী সরকারী শিবিরে বিভাজনের লক্ষণ


ইমরান খান (বামে) ফজলুর রহমান

মাও. ফজলুর রহমানের আগাম নির্বাচনের দাবী সরকারী শিবিরে বিভাজনের লক্ষণ


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     19 April, 2022     05:51 PM    


পাকিস্তানের সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী পিটিআই নেতা ইমরান খানের বিরোধী মাওলানা ফজলুর রহমান দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানি পার্লামেন্টের বিরোধী এই নেতা জাতির আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচনের দাবী জানান।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান এমন সময় এই দাবী জানালেন যখন আগাম নির্বাচনের দাবীতে ইমরান খানও দেশজুড়ে বিশাল সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন।

মাওলানা ফজলুর রহমান এবং ইমরান খানের রাজনৈতিক অবস্থান বিপরীত মেরুতে হলেও আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে দু'দলই এখান একমত। তবে সংসদে যে দুটি রাজনৈতিক স্রোতোধারা বহমান সে বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মাওলানা ফজলুর রহমানের দাবীর মধ্য দিয়ে। কেননা এই মাওলানা ফজলুর রহমানই ইমরান খানের কট্টর বিরোধী ছিলেন। আগাম নির্বাচনের দাবীতে এখন তারা একই অবস্থানে রয়েছেন।

ইমরান খান দাবী করছেন যে বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। বিশেষ করে মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের যোগসাজশেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বারবার বলেছেন। ইমরান খানের দাবী আগাম নির্বাচন হলে জনগণ নতুন করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাঁর দল তেহরিকে ইনসাফ পার্টি আরও বেশি আসনে বিজয়ী হবে। পক্ষান্তরে বিরোধী দলের যেসব দলের যোগসাজশে ইমরান খান পদচ্যুত হয়েছিলেন তারা জনগণের আস্থা হারাবেন এবং সংসদে তাদের বহু আসনও হারাবেন বলে মি. খানের বিশ্বাস। তিনি মনে করেন জনগণ ভোটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে তিনি জনগণের রায় নিয়ে আবারও পাকিস্তানের কার্যনির্বাহী দৃশ্যে উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবেন বলে তাঁর বিশ্বাস।

মাওলানা ফজলুর রহমানের দাবী থেকে বোঝা যায় যে তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরোধিতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। জনগণ যে ইমরান খানকে এভাবে পদচ্যুত করার বিষয়টি সমর্থন করে নি সেটা বুঝতে পেরেই আগাম নির্বাচনের দাবী তুলেছেন তিনি। আগামি বছরেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনে মাও ফজলুর রহমান নিজের সমর্থকদের ব্যাপারেও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে।

সুতরাং তাদের প্রতি পাকিস্তানের জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতেই আগাম নির্বাচনের দাবী তুলেছেন ইমরান বিরোধী এই নেতা। একইসঙ্গে মাও. ফজলুর রহমানের মন্তব্য শাহবাজ শরিফের মিত্রদের মধ্যে বিভাজনের লক্ষণও বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ।

-পার্সটুডে