রহমত ডেস্ক 03 April, 2022 03:37 PM
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচারকর্ম বিভাগও এ উন্নয়নের অংশীদার। আপনারা প্রতিটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দর্ভোগ লাঘবের জন্য স্বীয়, মেধা, মনন ও কৌশল প্রয়োগ করবেন। কীভাবে হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে দ্রুত বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা যায় তার প্রতি লক্ষ্য রাখা বিচারকদের দায়িত্ব। আজ বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে নারীদের শুধু পদচারণাই ঘটেনি বিচার বিভাগে তাদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয় হারে বাড়ছে। বর্তমানে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারী বিচারকের সংখ্যা ৫৪৪ জন যা মোট বিচারকের শতকরা ২৮ ভাগ। এ সংখ্যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও উৎসাহমূলক।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেওয়া বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সভাপতি হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, আইন সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, এসোসিয়েশনের মহাসচিব জিনাত সুলতানা প্রমুখ।
নারী বিচারদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন জজ যখন মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি নারী বা পুরুষ থাকেন না, তখন তিনি জজ-ই থাকেন। তাই শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষের কথা চিন্তা না করে একসাথে কাজ করতে হবে। নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুচ্ছেদ ১৯, ২০, ২৮ - এ সকল প্রকার কর্মে ও পেশায় সমতার বিধান যুক্ত করা হয়। সংবিধানে প্রদত্ত এ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীদের বিচার বিভাগে অংশগ্রহণের সকল বাধা দূর করে বিচারকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন। ১৯৭৫ সালে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মত দু’জন নারী বিচারক বাংলাদেশের বিচার বিভাগে যোগদান করেন।