রহমত ডেস্ক 27 March, 2022 06:29 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা সরকার ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থন দখল করে থাকায় দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দুর্নীতিবাজদের কারনে দেশের সব যায়গায় সিন্ডিকেটের শাসন চলছে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা না গেলে মানুষের রক্ত চোষা সিন্ডিকেট বন্ধ করা যাবে না।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুফতী ফয়জুল করীম আরো বলেন, যেই দেশের প্রধান বিচারপতি বিচার না পেয়ে দেশ থেকে পালায়ন করে সে দেশে আমরা ন্যায় বিচার আশা করি কিভাবে? তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারাও সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে স্বীকৃতি বঞ্চিত। অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের লোকরা দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগে সদস্য অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামীলীগের বাইরের প্রকৃতি মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে।
তিনি বলেন, কথা ছিলো গরীব ধনী-মালিক-শ্রমিক, সরকারী দল, বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। থাকবে না ধর্মীয় কোন ভেদাভেদ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরে ভেদাভেদ চরমে পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাম্য, মানবাধিকার ও সুশাসন নেই। হাজার মানুষ খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ ডাষ্টবিনের পাশে খোলা আকাশের নীচে কাক-কুকুরের সাথে খাদ্যের জন্য লড়াই করছে। হাজারো মানুষ বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য হাহাকার করছে। সাম্য আজ কোথায়?
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, কিছু মানুষের কাছে সিংহভাগ অর্থ আর সিংহভাগ মানুষ নিরবে অর্ধাহার, অনাহারে নিরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এমন অবস্থার জন্য জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশনিয়ে দেশকে স্বাধীন করেনি। স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে সমতার জন্য। তিনি বলেন, একই দেশে বসাবাস করে সরকারী দলের লোকদের জন্য মর্যাদা আর বিরোধী দলের লোকদের জন্য লাঞ্চনা এটা সাম্য নয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশঃ সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান হামিদী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শেখ লুৎফুর রহমান, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সেক্রেটারী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তুহিন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার কামরুল হক, ডা. রিফাত আল মাজিদ, ইউসুফ হোসেন বাচ্চু, মুফতী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুফতী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মাওঃ মাহমুদুল হাসান হিফজ, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী প্রমুখ।