রহমত ডেস্ক 24 March, 2022 07:09 PM
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, মানুষের কল্যাণ, মানুষের নিরাপত্তা, মানুষের সম্মান ছাড়া আমার আর কোনো প্রত্যাশা নেই। আমি খালেদা জিয়ার কাছে যেমন নেতৃত্ব চাই না, তেমনই আমার বোন শেখ হাসিনার কাছেও কিছু প্রত্যাশা করি না। কিন্তু তারা (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে) যখন ভুল করেন, অন্যায় করেন তাদের দ্বারা যখন কোনো ভুল সংগঠিত হয় তখন আমি আহত হই। তখন আমি ব্যথিত হই।
আজ (২৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘দিনলিপি: বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-উর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহসীন হোসেন পিন্টু ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সরকারের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে বাঙালি ‘জয় বাংলা’ ছাড়া আর কোনো স্লোগান দেয়নি সেই বাঙালির দেশ বাংলাদেশের মেরুদণ্ড আজ কোথায় নেমে গেছে। এ কথা বললে শেখ হাসিনা কি রাগান্বিত হবেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে) যদি রাগান্বিতও হন আমার মত এরকম মুখপোড়া না থাকলে আপনিতো ধ্বংস হয়ে যাবেন। আমি আজ চিন্তিত যে, এ সরকার চলে গেলে বিএনপি ক্ষমতায় এলেই বঙ্গবন্ধু সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগানো হবে। যারা ওখানে আছে তাদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে। তারেক রহমান ক্ষমতায় এলে পাঁচ লাখ লোক একদিনে মারা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, অনাগত এ ভবিষ্যত থেকে দেশকে ফেরানোর জন্য আপনি কি কোনো চেষ্টা করেছেন। সবার মৃত্যু আছে। আপনার দলকে বাঁচানোর জন্য আপনি কোনো চেষ্টা করে যাবেন না? বঙ্গবন্ধুকে আমরা কেউ বড় করতে পারিনি। আমরা তার অযোগ্য সন্তানেরা তাকে নষ্ট করেছি। ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। তিনি এতটা নিষ্ক্রিয় কখনই ছিলেন না। আমাদের উচিত ছিলো তাকে রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে এনে জাতীয় গণ্ডিতে রেখে জাতীয়ভাবে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থাপন করা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক নেতা ছিলেন। তাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করা উচিত ছিলো, কিন্তু আমরা তা পারিনি।