রহমত ডেস্ক 24 March, 2022 08:04 PM
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রমজান এলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কারণ রমজানে ভোক্তারা প্রতিযোগিতা ধরে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অধিক কেনাকাটার বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এছাড়া ব্যবসায়ীরাও বেশি মুনাফার জন্য পুরাতন পণ্য বিক্রি ও মিথ্যা বলে তা বিক্রির চেষ্টা করে। গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে সচেতনতাই বড় বিষয়।
আজ (২৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবির মিলন, তাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে দ্রব্যমূল্যে লাগাম টেনে ধরা গেছে। বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম বাড়ানোর বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তা মোকাবিলায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পণ্য কেনাকাটায় ভোক্তাদের আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। জনগণের সামনে অনেক সমস্যা রয়েছে। জনগণের মধ্যে মূল্য নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। তবে পণ্যের মান ও মূল্য সঠিক রয়েছে কিনা এ বিষয়ে ভোক্তাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। পণ্যের দামের স্থিতিশীল অবস্থার বিষয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে ভোক্তা পর্যায়েসহ কনসাস কনজুমার সোসাইটি সিসিএসকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, জনসম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। যেমন, রডের দাম, গুড়ো দুধের দাম, বর্তমানে অস্থিরতা তেলের দাম নিয়ে। প্রতিটি জায়গায় ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। ২১৭ জন সদস্য দিয়ে ১৮ কোটি জনগণকে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ভোজ্যতেলের কারচুপির সঙ্গে যেসব ব্যবসায়ী জড়িত তাদের একটি তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।