মূল পাতা স্বাস্থ্য করোনাভাইরাস আজও দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১২১
রহমত ডেস্ক 22 March, 2022 05:45 PM
গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১২১ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ১ হাজার ২৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১৭ জনে।
আজ (২২ মার্চ) মঙ্গলবার বিকালে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে (২৭ জানুয়ারি-২১) বুধবার বিকেলে দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে ১০ হাজার ৯৭৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১০ হাজার ৯৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন ৯১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৫ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আগের দিন সোমবার (২১ মার্চ) ১১৬ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এর আগে গত ১৫ মার্চ ৯৬ দিন পর করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিল দেশ। এরপর ১৬ ও ১৭ মার্চও কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে তিনদিন পর ১৮ মার্চ দুজনের মৃত্যু হয়। ওইদিন ১০৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর পরদিন ১৯ মার্চ আবারও করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন দেখে বাংলাদেশ। এদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও একশ’র নিচে নামে। তবে ২০ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এদিন শনাক্ত হয় নতুন ৮২ জন রোগী।