রহমত ডেস্ক 22 March, 2022 10:03 PM
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি বলেছেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সব পেশার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা স্বীকৃতি সারাদেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উৎসাহমূলক অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সঠিক ইতিহাস বিশেষ করে সুনির্দিষ্ট এলাকার কৃতী মানুষকে সম্মাননায় নতুন প্রজন্ম প্রভাবিত হবে। দেশ ও জাতি গঠনে অবদানের স্বীকৃতি কৃতী পরিবারগুলোকে যেমন গর্বিত করেছে তেমনি আমাদের নাগরিক দায়িত্বও পালন হয়েছে। এজন্য উৎসবের আদলে কৃতী জনদের সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
আজ (২২ মার্চ) মঙ্গলবার বর্ণিল নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত তিন দিনব্যাপী পটিয়া উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন উদ্বোধন করেন।
সম্মাননার তালিকায় ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা দেশের বরেণ্যজনদের নাম দেখে অভিভূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পটিয়ার ইতিহাস অনেক গৌরবের। এখানে অনেক কৃতীজনের জন্মস্থান। তাদের সম্মাননা এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পটিয়ার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। কারণ দেশের উন্নয়নের রোল মডেলে পটিয়াকে বাদ দেয়া যায় না। পটিয়াবাসী সকলের সহযোগিতা থাকলে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সামনের দিনগুলোতে বর্তমান নেতৃত্বেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উৎসব উৎযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে তিনদিনের প্রথম দিনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, উৎসব কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবি সাংবাদিক রাশেদ রউফ, উৎসব কমিটির সচিব মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান, পটিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।
উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছালেহ মো. তানভীর, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিজন চক্রবর্ত্তী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল প্রমুখ।
শতবর্ষে বিভিন্ন পেশায় অবদান ও কৃতিত্বের স্বীকৃতি-স্বরূপ ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার ৭৮ জনকে পটিয়ার রত্ন ঘোষণা করে স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। পটিয়া ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে তিন দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন অংশ নেন। ৩২ জনকে মরণোত্তর ‘পটিয়া রত্ন স্বর্ণস্বারক’ তাদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন প্রধান অতিথি। বুধবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে পটিয়ার বিশিষ্ট ১১ গুনীজনকে ‘পটিয়া রত্ন’ ঘোষণা করে স্বর্ণপদক সম্মাননা প্রদান করা হবে। বিকেল তিনটায় পটিয়া হাই স্কুল মাঠে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।