রহমত ডেস্ক 08 March, 2022 02:07 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, এদের দিন শেষ হয়েছে। দিন শেষ হয়ে এসেছে, ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। আদালতকে ব্যবহার করে বিতর্ক রায়ের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। রুখে দাঁড়াতে হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে পরাজিত করার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ (৮ মার্চ) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ। যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা আগে থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিলে ব্যানার-ফেস্টুনে নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। এতে প্রেস-ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ প্রভাব বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের উপর পড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনার পর এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে জিনিসপত্রের দাম সব জায়গায় বেড়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থেকে শুরু হলো? আর কবে থেকে দেশের মানুষ চিৎকার করছে যে তেলের দাম কমাও, চালের দাম, ডালের দাম কমাও, আমরা আর পারছি না। করোনাকালীন দুই বছরে যে চুরি, যে ডাকাতি আপনারা করেছেন স্বাস্থ্যখাতে এবং বড় লোকদের সরকারি টাকা দিয়ে বড়লোক করেছেন, গরীবকে গরীব করেছেন, সে কথার জবাবটা কে দেবে প্রধানমন্ত্রী?
তিনি বলেন, সরকার বাজারের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট ও আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী। ফলে তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। ৭২ থেকে ৭৫ সালে যা হয়েছিল আবারও তারা তাই করছে? দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা সহ্য করতে করতে সহ্য করা শিখে গেছি। সরকারের অন্যায়, নিপীড়ন বন্ধ করতে হলে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, দেশে যাতে পুনরায় দুর্ভিক্ষ না হয় সে জন্য সরকারকে হটানোর বিকল্প নাই। সরকার যদি আরও বেশি কিছু দিন ক্ষমতায় থাকে তাহলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে, অস্তিত্ব থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর জন্যই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে সিন্ডিকেট ও প্রজেক্টের মাধ্যমে বিদেশে বাড়ি করতে টাকা পাচার করছে, যা সামাজিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তারা আমাদের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সবকিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ অবস্থায় বন্দি রয়েছেন। আমাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা, কোর্টে হাজিরা দেওয়ার মাধ্যমে দিন শুরু হয়।