মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন 'ছাত্র সমাজকে মাদকাসক্ত হতে সাহায্য করছে সরকার'
নিজস্ব প্রতিনিধি 03 March, 2022 06:48 PM
সচেতন নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠনের অব্যাহত প্রতিবাদ স্বত্ত্বেও অবাধে মদ বিক্রি লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মদের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ছাত্র সমাজকে মাদকাসক্ত হতে সাহায্য করছে সরকার। যার প্রতিফল পুরো শিক্ষা সমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দেওয়া। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকার একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা 'মাদক বিরোধী' অভিযান এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নামক প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ব্যায় করছে মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। আর অন্য দিকে নিজেরাই আবার 'মদ' নামক মাদকের লাইসেন্স প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে, যা স্ববিরোধী।
তারা বলেন, বিশেষ করে 'মদ' সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে আছে উঠতি বয়সী তরুণ তরুণীরা। আর এই সকল তরুণ তরুণীদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটি পড়ুয়া। অহরহ এলএসডি, ইয়াবা ও বিদেশি মাদকসহ মাদক সেবনকারী শিক্ষার্থীরা গ্রেফতার হচ্ছে যাদের সবাই বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা অংশ মাদকের দিকে ঝুঁকে আছে। যারা কিনা সুযোগ পেলেই মাদক সেবন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই সরকার 'মদ' নামক মাদকের লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে যা জাতির ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নতির অজুহাত দেখিয়ে 'মদের' লাইসেন্স প্রদান করার মাধ্যমে ছাত্রসমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করবেন না। মাদকের কারণে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ হয়ে থাকে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত দেশের সচেতন ছাত্র সমাজ মেনে নিবে না। কোরআনে আল্লাহতা'আলা 'মদ'কে স্পষ্ট ভাবে হারাম বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাত্র সমাজ ও দেশের মানুষের কল্যাণার্থে 'মদের' লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করা এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত 'মদের' বার গুলো বন্ধ করে 'মদ' সহ সকল মাদকদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।