রহমত ডেস্ক 02 March, 2022 11:13 PM
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় দেশে অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত আছে। পণ্যের ঘাটতি নেই, অথচ কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি চেষ্টা করা হলে বা যে কোনো পণ্যের অবৈধ মজুত করা হলে, মজুতকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান(সচিব) মো. আফজাল হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ. এইচ.এম. সফিকুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ নেওয়াজ তালুকদার, এসবি’র ডিআইজি এ.জেড.এম. নাফিউল ইসলাম, ক্যাব প্রকাশিত ভোক্তা কন্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, শিল্প মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবি’র প্রতিনিধিবৃন্দ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মে মাসের পর সোয়াবিন তেল এবং ডিসেম্বর মাসের পর পামওয়েল খোলা বিক্রয় বন্ধ এবং সবভোজ্য তেল বোতল বা প্যাকেট জাত করার পাশাপাশি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে কোন পণ্য বিক্রয় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং পাঠ প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও উৎপাদনকারী এবং ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় সবকিছু করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার কার্ড বিতরণ করে টিসিবি’র মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি, ভোজ্যতেল, মশুরডাল, পেঁয়াজ, সোলা বিক্রয় করবে। এতে করে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। আমদানিকৃত পণ্য যাতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যৌক্তিক মূলে বিক্রয় করা হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে, ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।