প্রবাস ডেস্ক 28 February, 2022 12:00 PM
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে কর্মরত রয়েছে। যার প্রায় ২৫ লাখই সৌদি আরবে কর্মরত। দেশের অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রবাসীরা বিদেশে দেশের দূত। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক লোক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এবং হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করে বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। এমনকি করোনার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহও পর্যাপ্ত পরিমাণ আমানত তৈরি করতে পারছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের একটি অভিজাত হোটেলের অডিটোরিয়ামে সৌদি আরব প্রবাসী শরীয়তপুর কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সৌদি আরবের জেদ্দা কনস্যুলেটরের কনসাল জেনারেল নাজমুল হক, সৌদি আরব প্রবাসী শরীয়তপুর কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার সরকার, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক সফিক জামান সুমন, সদস্য সচিব ওমর তাঁতী, সদস্য জাফর ঢালী, সাবেক ছাত্রনেতা আরাফাত রহমান আরিফ প্রমুখ।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই শরীয়তপুরে এখন আর নদীভাঙন নেই। নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চল আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। আগামী জুনে পদ্মা সেতু চালু হবে। আর ইতিমধ্যেই মেঘনা সেতু নির্মাণেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে ছয়টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার, তারা কাজ করছে। শরীয়তপুরে ৪ লেনের কাজও এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শরীয়তপুর সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে, সে লক্ষ বাস্তবায়নে প্রবাসীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের জন্য যত ধরনের বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন, তা করতে কাজ করে চলছেন। প্রবাসী বান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য। তিনি প্রবাসীদের পরিবার ও সন্তানদের কথা ভেবেও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।