রহমত ডেস্ক 26 February, 2022 09:22 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। তাই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করছে। প্রথম থেকে সরকার করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। এমন কোনো জায়গা নেই যে এই সরকার লুটপাট করছে না। বাংলাদেশ আ’লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সবাইকে গণপেনশনের কথা বলা হচ্ছে। এটার মাধ্যমে আরেকটি লুটপাটের ব্যবস্থা করছে। মানুষ আ‘লীগকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করছে।
আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট পুরোটা প্রকাশ করতে হবে। এতদিন কার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হয়নি, তা জাতি জানতে চায়। এটা খুব পরিস্কার যে, সেদিন রাজনৈতিক নির্দেশে সেনাবাহিনীকে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। এটা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল। তা তিনি করেননি। এতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সব সংকটের মূলে এদেশের গণতন্ত্রহীনতা। সংকট নিরসনে প্রয়োজন ইস্পাতকঠিন রাজনৈতিক ঐক্য। সব রাজনৈতিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছু দিন ধরে। আমরা রাস্তায় নেমে গেছি। তরুণ সমাজের প্রতি বলতে চাই, আপনারা জেগে উঠুন। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান- আসুন আমরা একসাথে আন্দোলন করি এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করি। চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংকট, এখনো সময় আছে খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। তাহলেই কেবলমাত্র এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, সরকার নিজে এবং সমস্ত প্রশাসনযন্ত্রকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। ওয়াসার এমডিকে তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে। ব্যক্তিবিশেষকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এই দুর্নীতির কারণে পানির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুইক রেন্টাল প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এদের জন্য আবার সংসদে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী এবং উপদেষ্টার টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে। আমরা জানতে চাই, এই সমস্তগুলো পরিষ্কার করে বলতে হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দূর করতে সরকার জনগণের করের টাকার অপচয় করছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলতে মাসে ২০ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে সরকার। কেন লবিস্ট নিয়োগ করেছেন? ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। চতুর্দিকে নড়বড়ে অবস্থা।