নোয়াখালী প্রতিনিধি 22 February, 2022 04:08 PM
নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরি দেয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে এক সন্তানের মাকে (২৩) জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) এ সংবাদ সম্মেলন করে। এতে বক্তব্য রাখেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার বিকালে পিবিআই হেডকোয়ার্টাস ঢাকা, পিবিআই নোয়াখালী জেলা ও পিবিআই কুমিল্লা জেলা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ফুয়াদ আল মতিনকে কুমিল্লা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান আসামী ফুয়াদ আল মতিন ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ১৬৪ বা ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আসামী মতিন কুমিল্লায় তার এবং তার বাবার নতুন নাম ধারণ করে সেখানে থাকতেন। তার নাম ফুয়াদ আল মতিনের পরিবর্তে মাসুদ রানা এবং বাবার নাম আব্দুল্লাহ মতিনের পরিবর্তে একরামুল হক বলে পরিচয় দিতেন। ধর্ষণের ঘটনাটি জানা জানির পর আসামী কুমিল্লা গিয়ে অবস্থান করেন এবং পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। ভিক্টিমের সাথে ফুয়াদ আল মতিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও তিনি জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা ফুয়াদ তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ডেকে নেয়। সেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। ওই সময় ফুয়াদের আরেক সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে। শেষে সেও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একই সাথে তারা আমাকে বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়। তারপর ঘটনাস্থল থেকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার নারী চাটখিল থানায় ফুয়াদসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন ও সহযোগীকে আসামি করা হয়। মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর পরই পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়কে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।