| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ‘রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করে আল্লাহকে খুশি করা’


‘রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করে আল্লাহকে খুশি করা’


রহমত ডেস্ক     19 February, 2022     05:02 PM    


নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, এখন রাজনীতির নামে যেগুলো হয় আমার কাছে তা রাজনীতি মনে হয় না।রাজনীতি মানে এবাদত। রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করে, মানুষকে খুশির মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করা।  রাজনীতি মানে মানুষের মনের ভেতরে স্পন্দন করে দেওয়া।  যেটা আমার বাবার মধ্যে পেয়েছিলাম, বড় ভাইয়ের মধ্যে পেয়েছিলাম, দাদার মধ্যে পেয়েছিলাম। তবে আমরা হয়ত পারিনি।

আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে তার বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরের সামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লিাহ সানু ,বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল প্রমুখ।

শামীম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমাদের তিন ভাইকে তুলে দিয়েছিলেন বাবা। আমরা মনে করি, আমাদের অভিভাবক উনি (শেখ হাসিনা)। মায়ের পরে তার স্থান আমাদের কাছে। উনি যখন সংসদের ডেকে একটা কথা বলেছেন, আমি যখন বলেছি আমার কষ্ট লাগছে, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আল্লাহর কাছে মাফ চান। যাতে হাশরের ময়দানে দাঁড়িয়ে বলতে পারি আমি রাজনীতিতে আপস করিনি।

তিনি আরো বলেন, মেজো ভাই ক্লাস নাইনে থাকতে মুক্তিযুদ্ধে যান, বড় ভাইও ছিলেন। আগে মানুষ বলত ওই বাড়ি রাজনীতি করে, তারা সততার প্রতীক। সোনার চামচ মুখে জন্ম নিয়েছি আমরা। তবে ৭৫ এর পরে একবেলা ভাত খেয়েছি একবেলা খাইনি। ৯০০ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। ইচ্ছে করলে নারায়ণগঞ্জের অর্ধেক কিনে নিতে পারতেন। তবে আমার মাকে গিফট করা হীরা মহল বন্ধক রাখার সময় কোনো ধনী লোক এগিয়ে আসেনি। আদমজী মিলের শ্রমিকরা এক টাকা করে চাঁদা দিয়ে ছাড়িয়ে দিয়েছিল। বাবা বলেছিল বাড়িটা এখন আর আমার না, তোমরা শ্রমিকের বাড়িতে বড় হচ্ছো। তাই তাদের জন্য কথা বলি। এর আগেও অনেকবার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি। এতদিন আমার কষ্ট লাগেনি। তবে এখন কষ্ট লাগে। কয়েকদিন আগে আমার বাবা, মা ও বড় ভাইসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্মশানের মাটি ফেলা হয়েছে। আমি রাগলে রাস্তায় প্রভাব পড়ে। এখনও ডাকলে দুই চার লাখ লোক আসে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা নারায়ণগঞ্জ নারায়নগঞ্জ সদর