মূল পাতা আন্তর্জাতিক রাশিয়াকে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা: পুতিন
রহমত ডেস্ক 02 February, 2022 12:08 PM
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করে বলেছেন, আমেরিকা তার দেশকে একটি যুদ্ধে জড়াতে চায়। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলার কাজে ইউক্রেনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা।
ইউক্রেন সংকট সম্পর্কে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমেরিকা রাশিয়াকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়া সত্ত্বেও পুতিন এতদিন এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। তিনি মঙ্গলবার এ ব্যাপারে প্রথম কোনো বক্তব্যে বলেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের বিস্তার নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ সম্পর্কে আমেরিকা কোনো জবাব দিতে রাজি হচ্ছে না। তিনি সরাসরি সংঘাতের কথা উল্লেখ না করে পরোক্ষভাবে বলেন, “ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বাসনা পূর্ণ করতে সক্ষম হয় তাহলে তার পক্ষে এই জোটের অন্য সদস্য দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টেনে আনা সম্ভব হবে।”
ইউক্রেন সীমান্তে বর্তমানে সমরাস্ত্রসহ রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা চালানোর মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। মস্কো প্রায় আট বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং তখন থেকে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি অস্ত্রধারীদের রক্তক্ষয়ী তৎপরতাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন তার বক্তব্যে আরো বলেন, “আমার ধারনা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই বরং আমেরিকার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতি থামিয়ে দেয়া। ইউক্রেন কেবল ওয়াশিংটনের এই অশুভ লক্ষ্য চারিতার্থ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “ধরুন ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পেয়ে গেল এবং [ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের] সামরিক অভিযান শুরু হয়ে গেল। তখন কি হবে? আমরা কি তখন ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াব? কেউ কি এ বিষয়টি নিয়ে এভাবে চিন্তা করেছে? আমার মনে হয় না।”
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে বলেছেন, মস্কোর যদি সত্যিই ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর ইচ্ছা না থাকে তাহলে তার উচিত দেশটির সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া।
-পার্সটুডে