রহমত ডেস্ক 30 January, 2022 08:23 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সব মানুষকে টিকা দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। বস্তিতে গিয়েও আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রায় আড়াই কোটির মত মানুষ যারা ভ্রাম্যমাণভাবে চলাফেরা করে, দোকান-পাট, কল-কারখানায়, লঞ্চ-স্টিমারে কাজ করে তারা টিকার আওতায় আসছে না। এ কারণে সরকার ভ্রাম্যমাণ মানুষদের জনসনের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ (৩০ জানুয়ারি) রবিবার রাজধানীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে কোভিড-১৯ এর বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ ৫০ বছরের ঊর্দ্ধে সকল নাগরিককে প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বুস্টার ডোজ গ্রহণে সেরকম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য এখন থেকে ৪০ বছরেরে ঊর্ধ্বে সবাই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবে। একই সাথে ১২ বছরের ঊর্দ্ধে স্কুলগামী বা অন্যান্য সকল শিশুকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে আরো প্রায় ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। একারণে ১২ বছরের ঊর্দ্ধে সবাইকে ভ্যাকসিন দিলেও ভ্যাকসিন শেষ হবে না। এখন থেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন আইসোলেশনে রাখতে হবে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপি করোনা আক্রান্তের হার লাখ লাখ। পার্শ্ববর্তী দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। অথচ আমরা মাস্ক না পড়ে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্র চলাফেরা করছি। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ শিশুদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক না। জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতনতায় এগিয়ে আসতে হবে।