| |
               

মূল পাতা প্রবাস সৌদিতে পাকিস্তানির হাতে বাংলাদেশি যুবক খুন


নিহত বশির আহমদ

সৌদিতে পাকিস্তানির হাতে বাংলাদেশি যুবক খুন


রহমত ডেস্ক     26 January, 2022     08:59 AM    


ডেকে নিয়ে বশির আহমদ (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে সৌদিআরবে কর্মরত পাকিস্তানি শ্রমিকরা। গত রবিববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সৌদিআরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় কোভিড টিকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

নিহত বাংলাদেশি যুবক বশির আহমেদ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পৌর এলাকার তুলাতলী গ্রামের মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

পারিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান বশির আহমেদ। ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। সেখানের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন বশির। ওই কোম্পানিতে পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। বন্ধুত্বের সুবাদে কোম্পানির একটি ক্যাম্পে তারা একসঙ্গে থাকতেন। রবিবার রাতে পাকিস্তানি বন্ধুরা কোভিড টিকা দেওয়ার কথা বলে ওই শহরের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তাকে। রাতে ক্যাম্পে না ফেরায় নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করে বশিরের আত্মীয়-স্বজন। পরে সৌদি পুলিশ এ ঘটনায় এক পাকিস্তানি যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বশিরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এক পাকিস্তানি যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ এক বাঙালিসহ দুই পাকিস্তানি যুবককে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

বশিরের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল হক জানান, রবিবার রাতে পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিক তাকে কোভিড টিকা দেওয়ার কথা বলে রুম থেকে ডেকে নেয়। ওই রাতে রুমে ফেরেনি আমার ভাই। তার রুমে থাকা অন্যরা আমার ভাই সম্পর্কে জানতে চায় পাকিস্তানিদের কাছে। তখন ওই পাকিস্তানিদের কেউ বলে হাসপাতালে আছে, আবার কেউ বলে বন্ধুর রুমে আছে। তাদের কথায় গড়মিল থেকে পরদিন সোমবার বিকেলে ওই রুমে থাকা অন্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ দুই পাকিস্তানি ও এক বাঙ্গালী যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গলা কেটে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে।  

মোজাম্মেলের দাবি, আমার ভাই কয়েক মাস বাড়িতে টাকা পাঠায়নি। তার কাছে অনেকগুলো টাকা ছিল। ওই টাকার লোভে আমার ভাইকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাকিস্তানিরা। 

এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। নিহতের পরিবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো।