| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যুর গুজব


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যুর গুজব


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     25 January, 2022     03:57 PM    


আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ইন্তেকালের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। আজ (২৫ জানুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে মাহাথিরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লেও আন্তর্জাতিকতা বা দেশীয় কোন সংবাদমাধ্যমে এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর বিষয়ে কোন ধরনের খবর পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়ার পত্রিকা মালাই মেইলসহ দেশটির আরো বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ঘেঁটেও এ বিষয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে মাহাথির মোহাম্মদ গত একমাসে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।

এদিকে আজ মঙ্গলবার মাহাথির মোহাম্মদের মেয়ে মালয়েশিয়ার দ্যা নেশনকে জানায়, বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে (আইজেএন) স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। তার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। তার স্ত্রী সিতি হাসমাহ মোহম্মদ আলী ও পরিবার দ্রুত এবং পূর্ণ আরোগ্যের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। ৯৬ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা জানুয়ারির শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ছয় দিন ভর্তি থাকার পর গত সপ্তাহে মাহাথির মোহাম্মদ হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যান। তখন বলা হয়েছিল, সফলভাবে তাঁর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। তবে তখনো মাহাথিরকে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগ গত বছরের ডিসেম্বরে মাহাথির আরেক দফা হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় চিকিৎসক বলেছিলেন, মাহাথিরের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর দেওয়া চিকিৎসার ফলাফল নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।

২০০৭ সালে মাহাথিরের হৃৎপিণ্ডে বাইপাস অপারেশন হয়। এর আগের দুই বছরে তাঁর দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়। এর আগে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হলে অস্ত্রোপচারের জন্য ছুরি–কাঁচির নিচে যেতে হয়। ২০০৭ সালের অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি বুকের সংক্রমণে ভুগছিলেন। ২০১০ সালে বুকের আরেকটি সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসাবিদ্যায় ডিগ্রি নেওয়া এই রাজনীতিবিদ। মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালেও একই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ দফায় বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর বিজয়কে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করা হয়, তখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।