| |
               

মূল পাতা সোশ্যাল মিডিয়া 'মেয়েদের কষ্টের জন্য মেয়েরা নিজেরাও অনেকটা দায়ী'


নাজনীন আক্তার আমাতুল্লাহ

'মেয়েদের কষ্টের জন্য মেয়েরা নিজেরাও অনেকটা দায়ী'


নাজনীন আক্তার আমাতুল্লাহ     06 January, 2022     07:44 AM    


মেয়েদের কষ্টের জন্য মেয়েরা নিজেরাও অনেকটা দায়ী। আমরা মেয়েরা যোগ্য লোকের দ্বিতীয় স্ত্রী মরে গেলেও হবোনা কিন্তু অযোগ্য লোকের কাছে বিয়ে করে সারাজীবন কষ্ট করতে রাজি! মেয়েদের আকল কম থাকে জানি, তাই বলে এত কম এই জামানায়? নাকি বুদ্ধি বা চিন্তা করতে কমজুরি? নাকি “ভাবতেও চাইনা” এমন মানসিকতা?

আমি নিজেই মেয়ে খুঁজতে গিয়ে গিয়ে বিভিন্ন রকম অবাক হওয়ার মতো বিষয় দেখলাম। ডিভোর্স হয়েছে বাচ্চা আছে , পাত্র চাই অবিবাহিত! ডিভোর্স হয়েছে বয়স বেশি পাত্র হতে হবে কম বয়সী/অবিবাহিত! এখন অনেকে বলবেন, ডিভোর্স হওয়া দোষের নাকি? না দোষের না, বিষয়টা হলো ব্যালেন্স না থাকা। এটা না ঠিক থাকলেই ঝামেলা শুরু হয়।

আপনার বয়স বেশি, এখন আপনি যদি জেদ করে থাকেন আমার কাছাকাছি বয়স হতেই হবে, না হলে বিয়ে করব না একটু বয়স বেশি পাত্রের কাছে। এদিকে একজন ৩০ বছর বয়সী ছেলে আরামসে ১৮/২০ বছরের মেয়ে পায়। তাহলে সে কেন ৩০ বছরের মেয়ে বিয়ে করবে? ফলাফল কি হয় ? বয়স আরও বাড়তে থাকে। শেষমেষে শুরুতে যেমন পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল এখন সেটাও না পেয়ে অনেক ছাড় দিয়েই এক প্রকার বাধ্য হয়ে বিৎে করতে হয়।লজিক দিয়ে ভাবুন। পেয়ে গেলে ভিন্ন কথা কিন্তু এক্সেপশনাল কেইস দিয়ে উদাহরণ দিবেন না। ব্যতিক্রম কিছু সব কিছুতেই থাকে। 

একটা মেয়ে যোগ্য লোকের মাসনা হবেনা কিন্তু এমন ছেলেকে বিয়ে করে যে মেয়ের সাথে কুফুতে (অর্থাৎ সমতা) মেলেনা । সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকে ।দ্বীন দুনিয়ার কোনটাতেই বরকত হয়না। নামাজ কালামও ঠিক থাকেনা, মন বসেনা , মানসিক অশান্তির কারণে। কিন্তু একটা তাকওয়াবান লোকের দ্বিতীয় স্ত্রী হলে সে অনেক ভাল থাকতে পারতো। কিন্তু ঐ যে , মরে গেলেও সমাজে প্রচলিত সিস্টেম ফলো করতে হবে। 

এখন ঘরে ঘরে ডিভোর্স ! এত এত সমস্যা , কিন্তু মূল সমস্যা নিয়ে কথা বলতে নারাজ।যেই সমাজে বিয়ে কঠিন সেই সমাজে জিনা সহজ। এটাই হচ্ছে এই দেশে এখন। যার ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে স্বামীকে সময় দিতে পারেনা, স্বামীর মানসিক শারীরীক চাহিদা দেখেও না দেখার ভান করে, সেসব স্বামীরা পরকিয়া করে সংসারে অশান্তি করে, স্ত্রীকে সহ্য করতে পারেনা তখনও স্বামীর জন্য আল্লাহর দেয়া বিধানে বাধা প্রয়োগ করা হয়। অথচ শুধু মনটা আল্লাহর দিকে ঘুরিয়ে, যখন যেই বিধানের উপর আমল জরুরী সেটা করলেই উভয় জাহানে কামিয়াব। তখন ঘরে ঘরে এত তালাকপ্রাপ্তা/বিধবা পড়ে থাকতো না। সতীনের কষ্টের থেকেও অধিক কষ্ট প্রতিনিয়ত মাজলুম হওয়া।

মেয়েরা এগোলেই অনেক অনেক বোন অভিভাবক পাবে। সমাজে পরকিয়া কমে যাবে। হালাল সম্পর্কে বরকত আল্লাহ দেন। আল্লাহর জন্য অগ্রসর হলে , স্বয়ং আল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে নেন। দুনিয়াতে কতই বা আর কষ্ট হবে। আখিরাতের ভয়াবহতা সামনে দাড় করালে এই দুনিয়া জাস্ট ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে মন চাইবে। আমার রবের সন্তুষ্টি দেখলে দুনিয়ার কিছু নেই কিছু করার। আমরা তুচ্ছ দুনিয়ার তুচ্ছ কষ্টের ভয়ে ঈমান হারানো কথা পর্যন্ত বলে ফেলি। অথচ আল্লাহর কোন বিধানকে অসম্মান অবজ্ঞা করলে ঐ অবস্থায় মৃত্যু হলে বেঈমান অবস্থায় মৃত্যু হবে। আল্লাহ মাফ করুন।

অনেকেই বলবেন, সমতা রক্ষা করতে না পারলে তার কি একাধিক বিয়ে করা উচিত? স্ত্রীর হক পালন করা বা সমতা রক্ষা করা এই বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই। খারাপ লোক এক বউয়েরও হক আদায় করতে পারেনা। তাকওয়াবান লোক আল্লাহর জন্যই সবার সাথে উত্তম আচরণ করবে। আগেও বলেছি এটা একাধিক বিয়ের সাথে না ,ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত ।এই টপিক ভাল না লাগলে এদিক সেদিক করে ভিন্ন বিষয় এনে উপস্থাপন করে নিজের মনকে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা না করা-ই ভাল। ঈমান মজবুত হলে তখন আল্লাহর কোন বিধান নিয়ে প্রশ্ন/যুক্তিতর্ক আসেনা। আমি মানতে না পারি কিন্তু কোন বিধানকে খারাপ ভাবা যাবেনা, অসম্মান করে কথা বলা যাবে না।কোন কোন বিধান কখনো কখনো ফরজ/ওয়াজীব পর্যায়ে চলে যায় । তখন শুধু জায়েজের কথা বলে “সেটা না করলেও হয় “ এমন যুক্তি মুর্খতা বৈ কিছুইনা।

লেখক, ধর্মের পথে ফিরে আসা সাবেক চিত্রনায়িকা।