| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হানি হলে বিএনপি দায়ী : তথ্যমন্ত্রী


খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হানি হলে বিএনপি দায়ী : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     31 December, 2021     09:06 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের অধীনে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন না। সুতরাং খালেদা জিয়ার যদি এখন স্বাস্থ্যের কোন হানি হয়, এটির জন্য দায়ী হবে বিএনপি এবং তার পরিবারের যারা চিকিৎসক এবং যারা তার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তারা। খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়ে তার দন্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্ত রেখেছেন এবং তিনি তার মতো করেই অর্থাৎ তার পরিবার এবং দলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

আজ (৩১ ডিসম্বের) শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস হলে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার শামসুল হকের বীরত্বগাথা অবলম্বনে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’ এর শুভ মহরত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভিরের সভাপতিত্বে ও উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, নায়ক ফেরদৌস খান, নায়িকা আশনা হাবীব ভাবনা, চলচ্চিত্রটির সংলাপ-রচয়িতা আনন জামান, পরিচালক শুদ্ধমান চৈতন, মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ এসপি শামসুল হকের সহধর্মীনি মাহমুদা হক চৌধুরী প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি রাজপথেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, তাহলে সরকারের কাছে কেন আবেদন জানান তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এই দ্বি-চারিতা তো পরিহার করা উচিত তাদের। গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষকে জিম্মি করে বোমা নিক্ষেপ করার হুকুমের মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও যে ধরণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা তারা ভোগ করছেন, সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদগার করছেন, অন্য কোন দেশে এতটুকু করতে পারতেন কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়ে তার দন্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্ত রেখেছেন এবং তিনি তার মতো করেই অর্থাৎ তার পরিবার এবং দলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, বিকেলে একবার করেন, আবার মাঝেমধ্যে সন্ধ্যাবেলায়ও করেন। তাদের নেতৃবৃন্দ সারাদেশে ঘুরে ঘুরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। তারা রাজনৈতিক স্বাধীনতা এর চেয়ে বেশি কি চান? তারা কি অবাধে গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চান? ওনারা কি দিনের পর দিন হরতাল ডেকে মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চান, যা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে করেছেন, যেগুলো মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।