এবারও অস্বচ্ছ পদ্ধতিতেই ইসি গঠন করা হবে : সুজন

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন-ইসি গঠনের আগে ইসি নিয়োগে আইন করা সম্ভব নয়, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই এই আইন পাস করা সম্ভব। কিন্তু আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, এবারও অস্বচ্ছ পদ্ধতিতেই ইসি গঠন করা হবে। সরকার একটি আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে বদ্ধপরিকর।

আজ (১ ডিসেম্বর) বুধবার নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।সুজনের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন কেমন হতে পারে, তার একটি খসড়া তৈরি করে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে হস্তান্তর করেছিল সুজন। গত ১৮ নভেম্বর আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই আইন করা সম্ভব হবে না।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন,  আইনমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটি সুস্পষ্ট যে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন নিয়োগ পুরোনো নিয়মেই, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে, অস্বচ্ছ পদ্ধতিতেই হবে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সংসদের আগামী অধিবেশনেই আইন পাস করা যাবে। কারণ, এটি তিন-চার পৃষ্ঠার একটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত আইন। সরকার চাইলে গত অধিবেশনেও তা পাস করতে পারতো। জাতীয় সংসদে যে দ্রুততার সঙ্গে আইনই কেবল পাস করা হয় তা নয়, দ্রুততম সময়ে সংবিধানও সংশোধন হয়। মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে এটি পাস করা হয়।

তিনি বলেন, অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগের কারণে এসেছিল রকিবউদ্দীন কমিশন ও নূরুল হুদা কমিশন। এই দুই কমিশনের সদস্যদের চরম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে গুরুতর অসদাচরণেরই নয়, নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। বর্তমান সরকার কি এই দুই কমিশনের সব অপকর্মের দায় এড়াতে পারবে?

তিনি আরো বলেন, বর্তমান নূরুল হুদা কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, তা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে দেশ মহাসংকটের দিকে ধাবিত হতে পারে। আর এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদেরকে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কমিশনে নিয়োগ দেওয়া।